একটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ঠেকিয়ে দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। সোমবার দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাঁরা ইরানের পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতিদের করা ওই হামলা ঠেকিয়ে দিয়েছে। সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
হামলাটি এমন এক সময়ে হল, যখন ইসরায়েলের রাষ্ট্রপতি প্রথমবারের মতো দেশটিতে সফর করছেন।
এটি নিয়ে গত দুই সপ্তাহে উপসাগরীয় দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে তিনবার হামলা চালাল হুতি গোষ্ঠী। হুতি গোষ্ঠীর সামরিক মুখপাত্র আবুধাবিতে জুলফিকার ক্ষেপণাস্ত্র এবং দুবাইতে ড্রোন হামলার কথা স্বীকার করেছেন।
এর আগে, গত ১৭ জানুয়ারি হুতিদের হামলায় আবুধাবিতে তিনটি তেলবাহী ট্রাক বিস্ফোরণে তিনজন নিহত হন। আহত হন আরও ছয়জন। আবুধাবির শিল্প এলাকা মুসাফফাহে ড্রোন ও মিসাইল হামলায় এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে দুজন ভারতীয় এবং একজন পাকিস্তানি নাগরিক ছিলেন।
উল্লেখ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাত সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের অন্যতম অংশীদার। তারা ইয়েমেনের স্থানীয় নাগরিকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে। সম্প্রতি তাদের প্রশিক্ষিত একটি দল যুদ্ধের ময়দানে প্রবেশ করেছে। অপরদিকে ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতি ইরানের মদদপুষ্ট। তাঁরা দীর্ঘদিন ধরেই ইয়েমেনে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটকে প্রতিহত করে আসছে। আরব আমিরাতে এই হামলা তারই প্রত্যুত্তর বলে মনে করা হচ্ছে।
এই হামলার ফলে ইরান ও ইউএইর মধ্যকার সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে পরমাণু চুক্তি বিষয়ক আলোচনা ফের শুরু নিয়ে তোড়জোড় চলছে। এই সময়ে আরব আমিরাতের ওপর হুতি গোষ্ঠীর এই ড্রোন হামলা নতুন করে সংকট তৈরি করতে পারে। এটি ইয়েমেনে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের সঙ্গে হুতিদের চলমান যুদ্ধকে আরও তীব্র করবে।