Ajker Patrika

ফুলের মতো দেখালেও এটি পৃথিবীর জন্য ভয়ংকর বিপদের বার্তা!

আপডেট : ০৭ মার্চ ২০২৫, ২২: ৪০
গ্রাফিক ভিজুয়ালাইজেশনটির সবচেয়ে প্রসারিত রূপ এটি। ছবি: সিএনএন
গ্রাফিক ভিজুয়ালাইজেশনটির সবচেয়ে প্রসারিত রূপ এটি। ছবি: সিএনএন

জলবায়ুবিজ্ঞানী জ্যাক হাউসফাদার একটি নতুন গ্রাফিক ভিজুয়ালাইজেশন তৈরি করেছেন। দেখলে মনে হয়, যেন এটি বসন্তে ফোটা কোনো ফুল। তবে এটি রং নীল থেকে লাল হয়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে একটি উদ্বেগজনক বার্তাও দিচ্ছে। এর মানে হলো, পৃথিবী ক্রমাগত এবং দ্রুত উষ্ণ হয়ে উঠছে!

শুক্রবার সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্রাফিকটিতে ১৯৪০ থেকে ২০২৪ সালের শেষ পর্যন্ত বৈশ্বিক তাপমাত্রার দৈনিক পরিবর্তন দেখানো হয়েছে, যা প্রাক্‌-শিল্পযুগের তুলনায় বেড়েই চলেছে। চিত্রটি বাইরের দিকে স্পাইরাল আকৃতিতে যতই প্রসারিত হচ্ছে, এটি ততই আরও লালচে হয়ে উঠেছে। এটি বৈশ্বিক তাপমাত্রার দ্রুত বৃদ্ধিকে নির্দেশ করছে।

বহুজাতিক আইরিশ-মার্কিন কোম্পানি স্ট্রাইপ-এর জলবায়ু গবেষণা দলের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন হাউসফাদার। পাশাপাশি তিনি ‘বার্কলে আর্থ’-এরও একজন গবেষক। জানিয়েছেন, ভালো ভিজুয়ালাইজেশন জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবকে আরও সহজবোধ্য ও অনুভবযোগ্য করে তুলতে পারে।

সিএনএনকে তিনি বলেন, ‘গত ৮৫ বছরে বৈশ্বিক তাপমাত্রা পরিবর্তনের এই চিত্র স্পষ্টভাবে দেখাচ্ছে, গত কয়েক দশকে আমাদের গ্রহ কত দ্রুত উষ্ণ হয়েছে এবং ২০২৩ ও ২০২৪ সাল আগের যেকোনো বছরের তুলনায় কতটা ভয়াবহভাবে উত্তপ্ত ছিল।’

২০২৩ সালটি ছিল মানব ইতিহাসে সবচেয়ে উষ্ণতম বছর। সে বছরই বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা প্রাক্‌-শিল্পযুগের তুলনায় ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যায়। অথচ প্রাক্‌-শিল্পযুগের চেয়ে গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে আটকে রাখার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিলেন বিজ্ঞানীরা।

বর্তমানে সাম্প্রতিক বছরগুলোর তীব্র উষ্ণতার সঠিক ব্যাখ্যা খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করছেন গবেষকেরা। এই উষ্ণতার প্রধান কারণ হিসেবে জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানো এবং এল নিনো জলবায়ুর প্রভাবকে বিজ্ঞানীরা চিহ্নিত করলেও শুধু এই কারণগুলো এত দ্রুত তাপমাত্রা বৃদ্ধির ব্যাখ্যা দিতে পারে না।

তবে বিজ্ঞানীরা এটুকু নিশ্চিত যে পৃথিবীর তাপমাত্রা যতই বাড়বে, মানবসমাজ ও প্রকৃতির ওপর ততই এর ভয়াবহ প্রভাব পড়বে; বিশেষ করে দাবানল, ঝড় ও বন্যার মতো দুর্যোগ আরও ঘন ঘন এবং তীব্র হয়ে উঠবে।

হাউসফাদার বলেন, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বৈশ্বিক উষ্ণতা দ্রুত বেড়েছে, যা আমাদের জীবিকা এবং প্রাকৃতিক পরিবেশের জন্য গুরুতর হুমকি সৃষ্টি করছে। আমরা যদি কার্বন নির্গমন কমানোর উদ্যোগ না নিই, তাহলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত