মিয়ানমারে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত ও তাঁর স্বামীকে কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির জান্তা সরকার নিয়ন্ত্রিত আদালত। ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত ভিকি বোম্যান ও তাঁর স্বামী তেইন লিনকে এক বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ভিকি বোম্যান ২০০২ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত মিয়ানমারে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর স্বামী প্রখ্যাত চিত্রকর তিয়েন লিন মিয়ানমারের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। গত সপ্তাহেই তাঁদের দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয় মিয়ানমারের অভিবাসন আইন ভঙ্গ করার অভিযোগে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি নিউজ ও বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস তাঁদের এক বছরের কারাদণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের আঞ্চলিক পরিচালক মিং য়ু হাহ এই বিষয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেছেন, বিষয়টি আশঙ্কাজনক। তিনি আরও বলেন, ‘মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগে লোকদের গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠানোর জঘন্য ইতিহাস রয়েছে।’
বার্মিজ ভাষায় সুদক্ষ ভিকি বোম্যান ১৯৯০ সালে মিয়ানমারের ব্রিটিশ দূতাবাসে সেকেন্ড সেক্রেটারি হিসেবে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন। সর্বশেষ দেশটিতে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষ করার পর থেকেই তিনি সেখানে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন। অন্যদিকে তাঁর স্বামী তিয়েন লিন মিয়ানমারের অন্যতম বিখ্যাত চিত্রকর। এর আগেও তিনি ১৯৯৮ সালে সামরিক শাসনের সময় ছয় বছরের জন্য কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছিলেন।
এর আগে জান্তা সরকার জানিয়েছিল, ওই দম্পতি তাদের নতুন ঠিকানা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে দেশটির অভিবাসন আইন ভঙ্গ করেছেন এবং এই অপরাধেই তাঁদের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এদিকে এমন এক সময়ে এই দণ্ডাদেশ এল, যখন দেশটির জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। যেসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে সেগুলোর অধিকাংশই মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।