হোম > বিশ্ব > এশিয়া

মিয়ানমারের রাখাইনে স্বার্থ হাসিলে তৎপর চীন-ভারত

অনলাইন ডেস্ক

মিয়ানমার, বিশেষ করে রাখাইনকে কেন্দ্র করে চীন-ভারতের মধ্যে স্বার্থের লড়াই শুরু হওয়ার আশঙ্কা আছে। ছবি: সংগৃহীত

মিয়ানমারে চলমান ব্যাপক গৃহযুদ্ধের মাঝেও নিজেদের স্বার্থ হাসিলে প্রতিযোগিতা করছে চীন ও ভারত। বিশেষ করে, খনিজ সম্পদে পরিপূর্ণ বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী রাখাইন রাজ্যে দুই দেশের মধ্যকার প্রতিযোগিতা ক্রমেই তীব্র হচ্ছে। দুই এমন এক সময়ে এই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হয়েছে, যখন রাখাইনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ) ধীরে ধীরে বঙ্গোপসাগরের উপকূলে অবস্থিত রাজ্যটির নিয়ন্ত্রণ জান্তাবাহিনীর হাত থেকে কেড়ে নিচ্ছে।

চীন রাখাইন রাজ্যে কায়াকপায়ু বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (এসইজেড) এবং গভীর সমুদ্রবন্দর প্রকল্প চালিয়ে যাচ্ছে। এই দুটি প্রকল্প নিয়ে মিয়ানমারের জান্তা সরকার গত ১৪ জানুয়ারি রাজধানী নেপিডোতে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী দলের সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করে। বৈঠকে জান্তার বিনিয়োগমন্ত্রী কান জাও কায়াকপায়ু এসইজেড কনসোর্টিয়াম কোম্পানি লিমিটেড, চীনের সরকারি সিআইটিআইসি কনসোর্টিয়াম এবং জান্তা মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রকল্প দ্রুত শেষ করার আহ্বান জানান।

এর দুই দিন পর, মিয়ানমারে ভারতের রাষ্ট্রদূত অভয় ঠাকুর এবং ইন্ডিয়ান গ্লোবাল লিমিটেডের প্রতিনিধি দল রাখাইনের রাজধানী সিতওয়ে সফর করেন। তাঁরা ভারতীয় অর্থায়নে চলমান কালাদান মাল্টি-মডাল ট্রানজিট করিডর প্রকল্পের অধীনে তৈরি সিতওয়ে বন্দরের কার্যক্রম পর্যালোচনা করেন। ২০২৩ সালের মে মাসে চালু হওয়া সিতওয়ে বন্দর ভারতের সমর্থিত এই বৃহৎ প্রকল্পের মূল অংশ বলে জানিয়েছে ভারতীয় দূতাবাস।

সিতওয়ের বাইরে সংঘাত চললেও রাষ্ট্রদূত রাতটা শহরেই কাটান। সিতওয়ে, কায়াকপায়ু এবং রামরি—এ তিনটি শহর ছাড়া রাখাইনের বাকি ১৪টি টাউনশিপ আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে। অভয় ঠাকুর জান্তা নিযুক্ত রাখাইন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থেইন লিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সেখানে তিনি সিতওয়ে বন্দরের কৌশলগত গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং এটিকে ভারত-মিয়ানমার বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি আরও বলেন, ‘এই প্রকল্প উপকূলীয়, আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক সংযোগ ও পর্যটনের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’

চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগের প্রভাব ঠেকাতে ভারতের ‘অ্যাক্ট ইস্ট’ নীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ কালাদান প্রকল্প। আর কায়াকপায়ু প্রকল্প চীন-মিয়ানমার অর্থনৈতিক করিডরের অংশ। এই করিডর চীনের ইউনান প্রদেশের কুনমিং থেকে ভারত মহাসাগর পর্যন্ত ১ হাজার ৭০০ কিলোমিটার দীর্ঘ পথ তৈরি করবে।

কালাদান প্রকল্পের লক্ষ্য হলো কলকাতা থেকে সিতওয়ে বন্দর পর্যন্ত সমুদ্র সংযোগ স্থাপন করা। এরপর সিতওয়ে থেকে কালাদান নদী হয়ে মিয়ানমারের চিন প্রদেশের পালেতওয়া পর্যন্ত সংযোগ স্থাপন এবং সেখান থেকে ভারতের মিজোরাম রাজ্যে সড়কপথে যুক্ত হওয়া। ১২ বছর আগে শুরু হওয়া এই প্রকল্প ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের স্থলবেষ্টিত অঞ্চলের বিকল্প পথ তৈরি করার জন্য নেওয়া হয়েছিল। ২০২৩ সালে প্রকল্পটি শেষ হওয়ার কথা থাকলেও রাখাইন ও চিন রাজ্যের যুদ্ধ সেই পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়েছে।

আরাকান আর্মি পালেতওয়া এবং কালাদান নদীর গুরুত্বপূর্ণ শহর পাউকতাও, কিয়াউকতাও, ম্রউক-উ, মিনবিয়া এবং মেইবন দখল করে রেখেছে। এই অবস্থায় বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, সিতওয়ের মতো সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের সফর চীনের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় ভারতের শক্ত অবস্থানের ইঙ্গিত দেয়।

তথ্যসূত্র: ইরাবতী

দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে সমকামী বিয়ের বৈধতা দিল থাইল্যান্ড

ট্রাম্পের অভিষেকের দিনে ভিডিও আলাপনে যে কথা হলো সি-পুতিনের

সরকারি কর্মচারীদের বহুবিবাহ নিয়ন্ত্রণে ইন্দোনেশিয়ায় কঠোর বিধি জারি

তালেবান-যুক্তরাষ্ট্র বন্দিবিনিময় চুক্তি সম্পন্ন

যুদ্ধবিরতিতে সম্মত মিয়ানমারের জান্তাবাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠী: চীন

জাপানের অনেক প্রবীণ নারীর কাছে কারাগারই শেষ আশ্রয়স্থল

নির্বাচনের আগে মিয়ানমারে দরকার শান্তি, জান্তাকে আসিয়ান

১৩৫ বছরে ভারত থেকে ৬৫ ট্রিলিয়ন ডলারের সম্পদ নিয়ে গেছে ব্রিটেন: অক্সফাম

দীর্ঘজীবনের গোপন রহস্য জানালেন ১২৪ বছর বয়সী চীনা নারী

মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে অস্ত্র পাচারের চেষ্টা, মিজোরামে আটক ৫

সেকশন