মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও পদ দখলে রাখায় থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচাকে নির্ধারিত দায়িত্বপালন বন্ধ রাখার আদেশ দিয়েছে দেশটির সাংবিধানিক আদালত। তাঁর আট বছরের মেয়াদের সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও দায়িত্ব পালন করে যাওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে একটি রিভিউ আবেদন করা হয়। সেই আবেদনের শুনানি শেষে আদালত এই নির্দেশ দেন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বিরোধী জোটের এক মামলার পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় সময় আজ বুধবার এই আদেশ দেওয়া হয়। আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করতে ১৫ দিন সময় পাবেন প্রায়ুথ। সংবিধান অনুযায়ী থাইল্যান্ডে আট বছরের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রীর পদে থাকতে পারেন না। তবে প্রায়ুথ ২০১৪ সাল থেকেই কৌশলে নিজ ক্ষমতা ধরে রেখেছেন।
আদালত এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আদালত বিরোধীদের আবেদন এবং সংশ্লিষ্ট নথিপত্র বিবেচনা করে দেখেতে পেয়েছে যে, পিটিশনে যেসব তথ্য দেওয়া হয়েছে সেই অনুসারে তদন্ত করতে হবে। এবং পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত প্রায়ুথের স্থগিতাদেশ আগামী ২৪ আগস্ট (আজ) থেকেই কার্যকর হবে। তবে আদালত এই বিষয়ে চূড়ান্ত রায় কবে দেবে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনে স্থগিতাদেশ দেওয়া হলেও বর্তমান মন্ত্রিসভাই দেশটির কার্যক্রম পরিচালনা করবে বলে জানিয়েছেন উপপ্রধানমন্ত্রী বিশ্বানু ক্রি নাম। তিনি বলেছেন, ‘চলতি মন্ত্রিসভাই দায়িত্ব পালন করে যাবে। কারণ, জেনারেল প্রায়ুথকে বরখাস্ত নয়, দায়িত্ব পালনে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে।’
থাইল্যান্ডের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রাকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করে প্রধানমন্ত্রী হন সে সময়কার সেনাপ্রধান প্রায়ুথ। পরে ২০১৯ সালে এক বিতর্কিত নির্বাচনে জয়ী হয়ে আবারও প্রধানমন্ত্রী হন তিনি। দেশটির পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ পুরোপুরি তার সামরিক জান্তার অধীনে। ক্ষমতা দখলের সময় থেকেই প্রায়ুথের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলছে।