হোম > বিশ্ব > এশিয়া

ভারত মহাসাগরে সর্বাধুনিক যুদ্ধবিমানের বহর পাঠাল যুক্তরাষ্ট্র

অনলাইন ডেস্ক

দিয়েগো গার্সিয়া ঘাঁটিতে মার্কিন বি-২ বোমারু বিমান। ছবি: প্ল্যানেট ল্যাবস

ভারত মহাসাগরে অবস্থিত দিয়ে গার্সিয়া ঘাঁটিতে মার্কিন বিমানবাহিনীর স্টেলথ বোমারু বিমান বহরের ৩০ শতাংশ অর্থাৎ, অন্তত ছয়টি বি-২ যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে পেন্টাগন। মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে এই উদ্যোগ নেওয়া হলো। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এটি ইরান ও ইয়েমেন তাদের মিত্র হুতিদের প্রতি একটি বার্তা।

মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তাঁর প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হ্যাগসেথ যখন ইরান ও তার প্রক্সি গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন, ঠিক তখনই এই মোতায়েনের বিষয়টি সামনে এল।

মঙ্গলবার বেসরকারি স্যাটেলাইট ইমেজিং কোম্পানি প্ল্যানেট ল্যাবসের তোলা ছবিতে দিয়েগো গার্সিয়া দ্বীপের টারমাকে (বিমানের পার্কিং এলাকা) ছয়টি মার্কিন বোমারু বিমান দেখা গেছে। একই সঙ্গে কিছু শেল্টার/হ্যাঙ্গার বা বিমান রাখার মতো কাঠামোও দেখা গেছে। সেখানে সম্ভবত আরও বিমান লুকানো থাকতে পারে। ঘাঁটিটিতে তেলবাহী ট্যাংকার এবং কার্গো বিমানও আছে।

দ্বীপটির সামরিক ঘাঁটিটি যৌথভাবে পরিচালনা করে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন। এটি ইরানের দক্ষিণ উপকূল থেকে ৩ হাজার ৯০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এর আগে, গত রোববার প্ল্যানেট ল্যাবসের তোলা ছবিতে দিয়েগো গার্সিয়ার টারমাকে চারটি বি-২ এবং ছয়টি সহায়ক বিমান দেখা গিয়েছিল।

বি-২ বোমারু বিমানের কথা সরাসরি উল্লেখ না করে পেন্টাগনের মুখপাত্র শন পার্নেল নিশ্চিত করেছেন যে, মার্কিন সামরিক বাহিনী ওই অঞ্চলে আমেরিকার প্রতিরক্ষামূলক অবস্থান উন্নত করতে অতিরিক্ত বিমান এবং ‘অন্যান্য আকাশ সরঞ্জাম’ পাঠাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্ররা আঞ্চলিক নিরাপত্তার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ...এবং এই অঞ্চলে সংঘাত বাড়াতে বা উসকে দিতে চাওয়া যেকোনো রাষ্ট্রীয় বা অ-রাষ্ট্রীয় শক্তির জবাব দিতে প্রস্তুত।’

সিএনএনের সামরিক বিশ্লেষক সেড্রিক লেইটন বলেছেন, এই অত্যাধুনিক ২০০ কোটি ডলার মূল্যের যুদ্ধবিমানগুলোর মোতায়েন মার্কিন প্রতিপক্ষের জন্য একটি সংকেত। মার্কিন বিমানবাহিনীর সাবেক এই কর্নেল বলেন, ‘এই বি-২ গুলোর মোতায়েন পরিষ্কারভাবে ইরানের প্রতি একটি বার্তা—সম্ভবত একাধিক বার্তা—পাঠানোর জন্য করা হয়েছে।’

লেইটন বলেন, ‘এর মধ্যে একটি হতে পারে ইয়েমেনের হুতিদের সমর্থন বন্ধ করার সতর্কতা। আরেকটি বার্তা যা ট্রাম্প প্রশাসন ইরানকে পাঠাতে পারে তা হলো, তারা একটি নতুন পারমাণবিক চুক্তি চায় (ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে যে খারাপ চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করেছিলেন তার পরিবর্তে) এবং ইরান যদি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা শুরু না করে, তবে এর পরিণতি হতে পারে ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচির ধ্বংস।’

ট্রাম্প ইরানকে তার পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে একটি চুক্তিতে আসার জন্য চাপ দিচ্ছেন। ১৯ মার্চ তিনি বলেন, তেহরানকে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য দুই মাস সময় দেবেন, নতুবা পরিণতির মুখোমুখি হতে হবে। গত মাসে ফক্স নিউজকে ট্রাম্প বলেন, ‘ইরানকে সামলানোর দুটি উপায় আছে—সামরিকভাবে অথবা আপনি একটি চুক্তি করুন। আমি একটি চুক্তি করতে পছন্দ করব, কারণ আমি ইরানের ক্ষতি করতে চাইছি না।’ কিন্তু ইরান গত সপ্তাহে যেকোনো সরাসরি আলোচনা প্রত্যাখ্যান করেছে।

এদিকে, পেন্টাগনের মুখপাত্র পার্নেল বলেছেন, বিমানবাহী রণতরি ইউএসএস হ্যারি এস. ট্রুম্যান পুরো এপ্রিল মাস মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে থাকবে, যদিও এর মোতায়েন মার্চের শেষে শেষ হওয়ার কথা ছিল। এই রণতরি থেকেই ইয়েমেনে হামলা চালানোর কথা ছিল। সিএনএন এর আগে আরও প্রকাশ করেছিল যে, বিমানবাহী রণতরি ইউএসএস কার্ল ভিনসন এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মহড়া শেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে যাবে।

যুদ্ধাহত ফিলিস্তিনিদের আশ্রয় দেবে ইন্দোনেশিয়া: প্রেসিডেন্ট

ভিয়েতনামের অর্থনীতিতে ট্রাম্পের শুল্কের খড়্গ

মিয়ানমারে যুদ্ধবিরতির মধ্যেও চলছে জান্তা-বিদ্রোহীদের সংঘাত

নিজের বয়স ১৪০ বছর দাবি বৃদ্ধের, তদন্তে তালেবান সরকার

দুই দিন ধরে তুর্কি বিমানবন্দরে আটকা আড়াই শতাধিক যাত্রী

জনমানবহীন দ্বীপের ওপরও ট্রাম্পের ২৯ শতাংশ শুল্ক আরোপ

ব্যাংককে মিয়ানমারের জান্তাপ্রধানের সঙ্গে মোদির আলাপ

সাংবিধানিক আদালতের রায়ে অবশেষে ক্ষমতাচ্যুত দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট

১১ বছরেও খোঁজ মেলেনি সেই মালয়েশিয়ান বিমানের, আবারও অনুসন্ধান স্থগিত

প্রাণহানি ৩ হাজার, যেন নরকবাস