এবার প্রতিরক্ষামন্ত্রীকেই বরখাস্ত করল চীন। গত তিন মাসের মধ্যে এ নিয়ে দেশটির শীর্ষস্থানীয় কোনো নেতাকে পদচ্যুত করার দ্বিতীয় ঘটনা এটি। গত জুনে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীকেও বরখাস্ত করা হয়েছিল।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল লি শাংফু গত দুই মাস ধরে জনসাধারণের দৃষ্টির আড়ালে ছিলেন। আজ মঙ্গলবার তাঁকে বরখাস্ত করার খবর দিয়েছে চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমগুলো। তিন মাস আগে পদচ্যুত হওয়া দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাংও বরখাস্ত হওয়ার আগে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে লোকচক্ষুর আড়ালে ছিলেন।
চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সিসিটিভির তথ্য অনুসারে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রীকে বরখাস্ত করার পাশাপাশি তাঁকে স্টেট কাউন্সিলর পদ থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। চীনের শীর্ষ আইন প্রণেতারা তাঁকে অপসারণের অনুমোদন দিয়েছেন। তবে কেন তাঁকে অপসারণ করা হয়েছে সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লি শাংফুকে বরখাস্ত করা হলেও প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে এখনো নতুন কারও নাম ঘোষণা করেনি চীন। দেশটিতে ২৯ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত অনুষ্ঠিতব্য বেইজিং জিয়াংশান ফোরামে বিভিন্ন দেশের প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এর মধ্যে নিজ দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে বরখাস্ত করার ঘটনাটি অনেককে অবাক করেছে।
৬৫ বছর বয়সী লি শাংফুকে সর্বশেষ জনসমক্ষে দেখা গিয়েছিল গত ২৯ আগস্ট। দুর্নীতির জন্য তিনি তদন্তের মুখে আছেন—এমন একটি খবর গত মাসেই প্রকাশিত হয়েছিল।
গত মার্চেই চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে অভিষিক্ত হয়েছিলেন শাংফু। এই হিসেবে চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে তিনিই সবচেয়ে কম সময় ছিলেন।
ইতিপূর্বে পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাংকে চীন কেন বরখাস্ত করেছিল—সেই বিষয়েও কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রদূত থাকার সময় এক নারী সাংবাদিকের সঙ্গে বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্কে জড়ানোর কারণে তিনি পদ হারিয়েছিলেন।