রাশিয়ার সেনারা খেরসন ছেড়ে যাওয়ার পর চার শতাধিক যুদ্ধাপরাধের ঘটনা উন্মোচন করেছেন তদন্তকারীরা। সেই সঙ্গে অঞ্চলটিতে সেনা ও বেসামরিক নাগরিকের মরদেহ পাওয়া গেছে বলে অভিযোগ করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। খেরসনে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধেরও অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
তবে বেসামরিক নাগরিকদের মরদেহ পাওয়ার বিষয়ে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে পারেনি সংবাদমাধ্যম বিবিসি। এ ছাড়া অভিযোগ অস্বীকার করে মস্কো জানিয়েছে, ইচ্ছাকৃতভাবে বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করেনি রুশ সেনারা।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, খেরসন পরিস্থিতি নিয়ে রোববার (১৩ নভেম্বর) রাতের ভিডিও ভাষণে জেলেনস্কি বলেন, ‘রুশ সেনারা অন্যান্য অঞ্চলের মতো খেরসনেও একই নৃশংসতার চিহ্ন রেখে গেছে। আমরা প্রত্যেক খুনিকে খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় আনব। এ বিসয়ে কোনো সন্দেহ নেই।’
এর আগে শুক্রবার (১১ নভেম্বর) ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ইউনিট খেরসনের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বলে নিশ্চিত করেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে সামরিক অভিযান শুরুর কিছুদিন পরই খেরসন দখলে নেয় রাশিয়ার সেনারা। প্রায় ৮ মাস পর রুশ সেনারা শহরটি ছেড়ে যাওয়ার পর বাসিন্দাদের উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। দীর্ঘদিন পর মুক্ত বাতাসে নিশ্বাস নিতে পেরে আনন্দে উচ্ছ্বসিত বাসিন্দারা শহরটির কেন্দ্রে জাতীয় সংগীত গেয়ে ও জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে মিছিল করেন। এ ছাড়া শহরে ফিরে আসা ইউক্রেনীয় সৈন্যদের আলিঙ্গন করে অভিনন্দন জানান অনেকে।