বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক হামলা নিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে শুরু হয়েছে বিজেপি ও তৃণমূলের বিবৃতির লড়াই। ৩০ অক্টোবর রাজ্যের ৪ আসনে উপনির্বাচনেও ইস্যু হচ্ছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের ঘটনা নিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি তোলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। কারণ হিসেবে তিনি শুভেন্দুর বক্তব্যকে হাতিয়ার করছেন। কুণালের অভিযোগ, 'শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন বাংলাদেশের ঘটনায় বিজেপির ভোটে লাভ হবে। তার মানে এই কুৎসিত ঘটনার সুবিধাভোগী বিজেপি। তাহলে সুবিধা নেওয়ার জন্য কাদের কী ভূমিকা ছিল, তদন্ত হোক।'
অন্যদিকে, শুভেন্দু সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেছেন, বাংলাদেশে অবিলম্বে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা বন্ধ করতে হবে। নইলে বনগাঁ সীমান্ত অবরোধের ঘোষণা দেন তিনি।
এদিকে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগে কলকাতায় আজ হিন্দুত্ববাদীদের মিছিলের অনুমতিই দিল না মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির পুলিশ-প্রশাসন। ফলে বাংলাদেশ দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে ব্যর্থ হন তাঁরা।
মঙ্গলবার বিজেপি, ভিএইচপি, আরএসএস-সহ কয়েকটি সংগঠনের কর্মীরা কলকাতার রাসমনি রোডে জমায়েত হন। তাঁরা চেয়েছিলেন, মিছিল করে বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনে বিক্ষোভ করবেন। তবে মিছিলের অনুমতি দেয়নি কলকাতা পুলিশ। পরে পুলিশের অনুমতি ছাড়াই সেনাবাহিনীর এলাকায় জমায়েত করে মিছিল করতে চাইলে বাধা দেয় পুলিশ।
ডা. অর্চনা মজুমদার জানান, বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নিন্দনীয় হামলার প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গের সর্বত্রই আন্দোলন চলছে। এদিন হামলা বন্ধ করতে বাংলাদেশ সরকারের কার্যকরী ভূমিকার দাবিতে ডেপুটেশন দেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন পুলিশ সম্পূর্ণ অসহযোগিতা করছে। গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। এরপরও মানুষ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ নেতা অমিয় সরকারের নেতৃত্বে দূতাবাসে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।