ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের নাগপুরে। গাড়ি দুর্ঘটনায় ৮২ বছর বয়সী এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ৩০০ কোটি রুপির পারিবারিক সম্পত্তির জন্যই ওই ব্যক্তিকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিলেন তাঁরই পুত্রবধূ।
বুধবার এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শ্বশুরকে হত্যার ষড়যন্ত্র করার অভিযোগে নাগপুর শহর পরিকল্পনা বিভাগের সহকারী পরিচালক অর্চনা পুত্তেওয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শ্বশুর পুরুষোত্তম পুত্তেওয়ারকে গাড়ি চাপা দেওয়ার দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় পর অর্চনাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ বিষয়ে একজন পুলিশ কর্মকর্তা সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, শ্বশুরকে গাড়ি চাপা দেওয়ার জন্য লোক নিয়োগ করেছিলেন অর্চনা। আর ওই ঘটনাটি মঞ্চস্থ করার জন্য ১ কোটি রুপি খরচ করেছিলেন তিনি। এর মধ্যে গাড়ি চাপা দেওয়ার জন্য খুনিকে একটি ব্যবহৃত গাড়িও কিনে দিয়েছিলেন। আর এসব কিছু তিনি করেছিলেন শ্বশুরের ৩০০ কোটি টাকার সম্পত্তির নিয়ন্ত্রণ পাওয়ার জন্য।
ওই পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, ৫৩ বছর বয়সী অর্চনা তাঁর চিকিৎসক স্বামীর গাড়িচালক বাগদে এবং নীরজ নিমজে ও শচীন ধর্মিক নামে আরও দুজনের সঙ্গে হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন। পুলিশ অভিযুক্ত সবার বিরুদ্ধে আইপিসি এবং মোটরযান আইনের অধীনে হত্যা এবং অন্যান্য ধারা যোগ করে মামলা করেছে। পাশাপাশি দুটি গাড়ি, স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ফোনও জব্দ করা হয়েছে।
পুলিশের তদন্তে দেখা গেছে, ঘটনার দিন পুরুষোত্তম পুত্তেওয়ার তাঁর স্ত্রী শকুন্তলার সঙ্গে দেখা করতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন। অস্ত্রোপচারের পর ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছিলেন শকুন্তলা। হাসপাতাল থেকে ফেরার পথেই পুরুষোত্তমকে গাড়ি চাপা দেওয়া হয়।
হত্যা মামলার তদন্ত করতে গিয়ে ইতিমধ্যে শহর পরিকল্পনা বিভাগে অর্চনার কাজে ব্যাপক অনিয়মও পাওয়া গেছে। নানা অনিয়মের অভিযোগ থাকলেও এর আগে তিনি তাঁর রাজনৈতিক সংযোগের কারণে পার পেয়ে যেতেন। হত্যা মামলার সূত্র ধরে অর্চনার দুর্নীতির বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু হতে পারে বলে জানা গেছে।
আরও খবর পড়ুন: