অনলাইন ডেস্ক
ভারতের মহারাষ্ট্রে বিধানসভার চারতলা থেকে ঝাঁপ দিয়েছেন ডেপুটি স্পিকার নরহরি জিরওয়াল। তাঁর দেখাদেখি পরে ঝাঁপ দিয়েছেন তিনজন আদিবাসী বিধায়ক। তবে মাটিতে পড়ার আগে আত্মহত্যা প্রতিরোধের জন্য স্থাপন করা একটি জালের মধ্যে আটকে যান তাঁরা। সেখান থেকে পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করে। এখানেই শেষ নয়, উদ্ধারের পরপরই বিধানসভার বাইরে অবস্থান ধর্মঘটে বসে পড়েন তাঁরা।
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর বরাতে জানা গেছে, প্রতিবাদ জানাতে গিয়েই এই ধরনের কর্মকাণ্ড করেছিলেন মহারাষ্ট্র রাজ্যসভার তিন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। সংরক্ষণ নিয়ে বিধানসভার এক আলোচনার মধ্যে মহারাষ্ট্রের ধাঙড় গোষ্ঠীকে তফসিলি জনজাতির (এসটি) অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে প্রতিবাদ করছিলেন অজিত পাওয়ারের দলের বিধায়কেরা। এই প্রতিবাদের বিরোধিতা করেন ডেপুটি স্পিকারসহ কয়েকজন আদিবাসী বিধায়ক। এখানেই থেমে থাকেননি তাঁরা। প্রতিবাদস্বরূপ তাঁরা ঝাঁপ দেওয়ার কাণ্ডটিও ঘটান। লাফ দেওয়া আদিবাসী বিধায়কেরা হলেন বিজেপি বিধায়ক হেমন্ত সাভরা, কিরণ লাহামাটে, হিরমন খোসকার ও রাজেশ পাটিল।
জানা গেছে, আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টির দ্রুত সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে।
বস্তুত ঘটনাটির সূত্রপাত হয় পঞ্চায়েত আইন ১৯৯৬-এর অধীনে সরকারি চাকরিতে আদিবাসী নিয়োগের দাবিতে মহারাষ্ট্রের বিধায়কেরা আন্দোলন শুরু করলে। তাঁদের অভিযোগ, ২০২৩-এর অক্টোবরের পর থেকে ১৭টি ক্যাটাগরিতে আদিবাসীদের নিয়োগ থেমে রয়েছে। সাধারণ প্রার্থীরা যোগ দিলেও, আদিবাসী প্রার্থীদের নিয়োগ হয়নি। শুক্রবার এই বিষয় নিয়েই তর্ক-বিতর্ক চলছিল। আর তাতেই পরিস্থিতি ঝাঁপের দিকে গড়ায়।