অনলাইন ডেস্ক
কবুতরটি চীনের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করছে বলে সন্দেহ করা হয়। তাই একটি হাসপাতালে বন্দী জীবন কাটাতে হচ্ছিল একে। অবশেষে এটিকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। প্রাণী অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন পিপল ফর দ্য এথিক্যাল ট্রিটমেন্টস অব অ্যানিমেলসের (পেটা) উদ্যোগে মুক্ত হয় পাখিটি।
একটি কবুতরকে আট মাস ধরে পারেলের বাই সকারবাই দিনশা পেটিট হসপিটাল ফর অ্যানিমেলসে (বিএসডিপিএ) একটি কেসের আলামত হিসেবে রাখা হয়েছে তা জানার পরে, পেটা ইন্ডিয়া একে বন্দিদশা থেকে মুক্ত করতে উদ্যোগী হয়।
কবুতরটির দুঃসময়ের শুরু গত বছরের মে মাসে। মুম্বাইয়ের একটি বন্দরের কাছে এ সময় এটি ধরা পড়ে। পাখিটির ডানায় লেখা ছিল একটি মেসেজ বা বার্তা, যেটি চীনা বলে মনে হয়েছিল।
পেটা জানায়, এটি গুপ্তচরবৃত্তির সন্দেহের জন্ম দেয়। ফলে পুলিশ পাখিটিকে আটক করে তদন্তের অংশ হিসেবে মুম্বাইয়ের বিএসডিপিএইচএ-তে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পাঠায়।
পেটা দেরি না করে মুম্বাই পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যেন কবুতরটিকে ছেড়ে দিতে পারে সে অনুমতি আদায় করে। এসব তথ্য জানা যায় মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে।
পাখিটি গতকাল (৩ ফেব্রুয়ারি) হাসপাতালের সীমানার মধ্যে মুক্ত করে দেন বিএসডিপিএইচএর চিফ মেডিকেল সুপারিনটেনডেন্ট কর্নেল (অব.) ড. বি বি কুলকার্নি। পেটা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়।
কবুতরের ঘটনাটি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের কল্যাণে আলোড়ন তুললেও ‘গুপ্তচর পশুপাখি’র বিষয়টি নতুন কিছু নয়।
২০১৯ সালে, গায়ে বন্ধনী ও ক্যামেরা আটকানো একটি তুষারশুভ্র বেলুগা তিমি আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করে। বিশেষজ্ঞরা অনুমান করেন তিমিটিকে রাশিয়ান সামরিক বাহিনী প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকতে পারে। পরে এটির নাম দেওয়া হয় ভালদিমির।
বেলুগা হলো সামাজিক প্রাণী। এরা একসঙ্গে ভ্রমণ ও শিকার করে। কিন্তু ভালদিমির নামের তিমিটিকে একা পাওয়া যায়। নৌকাকে অনুসরণ করতে এবং এর যাত্রীদের সঙ্গে খেলা করতে দেখা যায় একে।
২০২৩ সালে সুইডেনের জলে তিমিটিকে আবার দেখা যায়। এর ভাগ্য সম্পর্কে প্রাণী অধিকার কর্মীরা এবং সামুদ্রিক বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগ প্রকাশ করেন।