অনলাইন ডেস্ক
ইসলাম চর্চায় হিজাব মোটেই অপরিহার্য নয়। আজ মঙ্গলবার ভারতের কর্ণাটক হাইকোর্ট এ রায় দিয়েছেন। এ রায়ের পরই দেশটি কর্ণাটক রাজ্যের একটি জেলায় ৮ শিক্ষার্থী বোরকা পরে পরীক্ষা হলে প্রবেশ করতে পারেননি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এমনটি বলা হয়েছে।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, কর্ণাটকের ইয়াদগির জেলার কেমভাভি গ্রামের পিইউ কলেজে হিজাব পরে প্রস্তুতিমূলক পরীক্ষা দিতে আসা আট শিক্ষার্থীকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। হাইকোর্টের অন্তর্বর্তী নিষেধাজ্ঞার আগে, এই কলেজে শিক্ষার্থীদের ক্লাসরুমের ভেতরে হিজাব পরার অনুমতি দেয়।
গতকাল সোমবার এই শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে পারলেও আজ মঙ্গলবার তাঁরা পরীক্ষা দিতে পারেনি। কর্তৃপক্ষ তাঁদের বোঝাতে ব্যর্থ হলে তাদের কলেজ চত্বর ছেড়ে যেতে বলা হয়।
ইয়াদগীর জেলা কলেজ বিভাগের উপপরিচালক চন্দ্রকান্ত জে হলি বলেন, কলেজ আগে হিজাবের অনুমতি দিয়েছিল কিন্তু আমরা কেবল হাইকোর্টের অন্তর্বর্তী আদেশ অনুসরণ করেছি। আমরা শিক্ষার্থীদের হিজাব না পরার জন্য বোঝানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু আজ তাঁরা বোরকা খুলতে অস্বীকৃতি জানায়।
বিজেপি শাসিত ভারতের কর্ণাটক রাজ্যে অশান্তির জেরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব পরে প্রবেশের ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল সরকার। একই সঙ্গে নিষেধাজ্ঞা জারি হয় হিন্দুদের গেরুয়া ওড়না পরে প্রবেশেও।
হিজাব নিষিদ্ধ ঘোষণার প্রতিবাদে বেশ কিছু ছাত্রছাত্রী আদালতের দ্বারস্থ হয়। তাঁদের দাবি ছিল, হিজাব পরা তাদের সাংবিধানিক অধিকার। রাজ্য সরকার সেই অধিকার কেড়ে নিচ্ছে।
৫ ফেব্রুয়ারি কর্ণাটক সরকার হিজাব ও ওড়না নিষিদ্ধ ঘোষণার পরই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল শিক্ষার্থীরা। ১০ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট বহাল রাখে হিজাবের ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা।
১১ দিন শুনানির পর মঙ্গলবার কর্ণাটক হাইকোর্ট জানিয়ে দেন, হিজাব মোটেই অপরিহার্য নয়। তাই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকছে। একই সঙ্গে হিজাবের পক্ষে দাখিল করা পাঁচটি মামলাও খারিজ করে দেন আদালত।