ব্রাজিলের উপকূলে থাকা হাঙরের পাল কোকেন পজিটিভ বলে দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা। বুধবার এক প্রতিবেদনে এই খবর জানিয়েছে বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সমুদ্র জীববিজ্ঞানীরা ব্রাজিলের রিও ডি জেনেরিও শহরের কাছাকাছি সামুদ্রিক এলাকার ১৩টি শার্পনোজ হাঙরকে পরীক্ষা করেছিলেন। পরে তাঁরা অবাক হয়ে দেখেন—সবগুলো হাঙরের পেশি এবং লিভারে উচ্চ মাত্রায় কোকেনের উপস্থিতি রয়েছে। কোকেনের এই মাত্রাটি ইতিপূর্বে কোনো সামুদ্রিক প্রাণীর মধ্যে পাওয়া মাত্রার চেয়ে শতভাগ বেশি।
বিবিসি জানিয়েছে, হাঙরের ওপর ওই পরীক্ষাটি করেছিল অসওয়ালদো ক্রুজ ফাউন্ডেশন। তারাই সর্বপ্রথম হাঙরের শরীরের কোকেনের উপস্থিতি শনাক্ত করেছে।
বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, যেসব অবৈধ ল্যাবে কোকেন উৎপাদন করা হয়, সেই স্থানগুলো থেকে কোনোক্রমে সমুদ্রের পানিতে মাদকটি ছড়িয়ে পড়েছে। আবার চোরাকারবারিদের কাছ থেকে কোকেনের বিপুলসংখ্যক প্যাকেট সমুদ্রের পানিতে মিশে গেছে, এমটাও হতে পারে। তবে দ্বিতীয় কারণটি ঘটনার সম্ভাবনা কম বলছেন গবেষকেরা।
ব্রাজিলের উপকূলে হাঙরের শরীরে কোকেন পাওয়ার ঘটনাটিকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং উদ্বেগজনক বলে আখ্যা দিয়েছেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট অব লিরিয়ার সমুদ্র ও পরিবেশ বিজ্ঞান সেন্টারের সমুদ্র বাস্তু-বিষক্রিয়া বিশেষজ্ঞ সারা নোভাইস।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, পরীক্ষা করা হাঙরগুলোর মধ্যে সবগুলো স্ত্রী হাঙরই অন্তঃসত্ত্বা ছিল। বিষয়টি হাঙরের অনাগত প্রজন্মের ওপর কী প্রভাব ফেলবে তা এখনো অজানা।
কোকেনের আসক্তি হাঙরদের আচরণে কী প্রভাব ফেলেছে, সেই বিষয়টি নিয়ে এখন গবেষণা চলছে। ইতিপূর্বে এক গবেষণায় দেখা গিয়েছিল, মাদক মানুষের মাঝে যে ধরনের প্রভাব ফেলে, একই ধরনের প্রভাব অন্যান্য প্রাণীর ক্ষেত্রেও দেখা যায়।