বলা হচ্ছে, ২৫ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা ভেনেজুয়েলার সমাজতান্ত্রিক পিএসইউভি পার্টি এবারই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে। রোববার দেশটিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ক্ষমতাসীন দলের নেতা ও প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো যে কোনো মূল্যে ক্ষমতা ধরে রাখবেন বলে আশঙ্কা করছেন পশ্চিমা বিশ্লেষকেরা। মাদুরোর আগে এই দলটির নেতৃত্বে ছিলেন প্রয়াত ও এক সময়ের আলোচিত নেতা হুগো শ্যাভেজ।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হুগো শ্যাভেজ ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করার পর ২০১৩ সাল থেকে পরপর দুই মেয়াদে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মাদুরো। এবার তৃতীয়বারের মতো নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনি। আগের দুটি নির্বাচনে তাঁর বিরুদ্ধে বিপুল কারচুপি এবং দমন-পীড়নের অভিযোগ ছিল।
এবারের নির্বাচনে মাদুরোর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন অ্যাডমুন্ডো গনজালেস। তিনি একজন সাবেক কূটনীতিক। বিরোধী দলগুলোর একটি জোট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য তাঁকে সমর্থন দিয়েছে।
নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন মাধ্যমে পরিচালিত জরিপগুলোতে দেখা গেছে, অ্যাডমুন্ডো গনজালেস ক্ষমতাসীনদের চেয়ে অনেক ব্যবধানে এগিয়ে আছেন। তবে অতীতের মতো এবারও নির্বাচনের ফলাফলে ক্ষমতাসীনেরা হেরফের করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বিরোধী দলগুলো। এই আশঙ্কা আরও বেড়েছে—কারণ সম্প্রতি তিনি তাঁর সমর্থকদের বার্তা দিয়েছেন, যেভাবেই হোক তিনিই জয়ী হবেন।
রোববার রাজধানী কারাকাসে ভোট দেওয়ার পর মাদুরো প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, দেশটির জাতীয় নির্বাচন কাউন্সিল (সিএনই) দ্বারা ঘোষিত ফলাফলগুলো সম্মান জানানো হবে। তবে ভেনেজুয়েলার নির্বাচন পরিচালনা করা সংস্থা সিএনই এমন একটি প্রতিষ্ঠান যেখানে ক্ষমতাসীনদের আধিপত্য রয়েছে। সংস্থাটির প্রেসিডেন্ট অ্যালভিস আমরোসো মাদুরোর ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্বাচনে ভোট দেওয়ার জন্য ভোট শুরুর আগেই স্থানীয় সময় সকাল ৬টা থেকেই কেন্দ্রগুলোতে দলে দলে আসতে শুরু করেছিলেন ভেনেজুয়েলার মানুষেরা। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, কারাকাসের একটি ভোটকেন্দ্রর দরজা খোলার জন্য বাইরে অপেক্ষারত ভোটারদের সারিগুলোতে উত্তেজনা দেখা গিয়েছিল। নির্বাচন উপলক্ষে দেশটিতে বর্তমানে সীমিত সংখ্যক স্বাধীন নির্বাচন পর্যবেক্ষক রয়েছেন। এর মধ্যে জাতিসংঘ থেকে চারজন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক কার্টার সেন্টার থেকে একটি ছোট কারিগরি দল রয়েছে।