অনলাইন ডেস্ক
লাতিন আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলার বিতর্কিত নির্বাচনে নিকোলাস মাদুরোর জয়ের দাবির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের দিকে যাচ্ছেন হাজার হাজার বিক্ষোভকারী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ঝড় উঠেছে প্রতিবাদের। বিক্ষোভকারীদের দমাতে রাজধানী কারাকাসে প্রেসিডেন্ট ভবন ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস ছুড়েছে পুলিশ। এদিকে বিরোধী দলগুলোর দাবি, জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে নির্বাচনে জয় পেয়েছেন মাদুরো।
এর আগে ভেনেজুয়েলার ভোটের ফলাফল নিয়ে উদ্বেগ জানান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। তিনি বলেন, ভোটে দেশটির জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটেনি। ১১ বছর ধরে ভেনেজুয়েলার ক্ষমতায় আছেন প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো। এই সময়ে দেশটির অর্থনৈতিক সংকট নিয়ে জনমনে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
গতকাল সোমবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রাথমিক ফলাফলে বিজয়ী হয়েছেন নিকোলাস মাদুরো। আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা এবং দেশের চলমান অর্থনৈতিক সংকট ও রাজনৈতিক চাপে থাকা মাদুরো টানা তৃতীয় মেয়াদে দেশটির প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে ১১ বছর ধরে ভেনেজুয়েলার ক্ষমতায় আছেন নিকোলাস মাদুরো। এই নির্বাচনকে মাদুরোর রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে বড় পরীক্ষা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কারণ দেশটিতে বিদ্যমান অর্থনৈতিক সংকট ও মাদুরো সরকারের রাজনৈতিক দমন-পীড়নে ক্ষুব্ধ জনগণ। এর পাশাপাশি আমেরিকান চাপ তো রয়েছেই।
তবে মাদুরো তাঁর সমর্থকদের সামনে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেছিলেন, যেভাবেই হোক নির্বাচনে জিতবেন তিনি। এতে ফলাফল কারচুপির বিষয়ে শঙ্কা দেখা দেয়। দেশটিতে ভোট পর্যবেক্ষণে খুবই সীমিতসংখ্যক স্বাধীন নির্বাচন পর্যবেক্ষক সুযোগ পেয়েছেন। জাতিসংঘের চারজন এবং একটি টেকনিক্যাল টিম পর্যবেক্ষণে ছিল। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পর্যবেক্ষকদের উপস্থিত থাকতে আমন্ত্রণ জানানো হলেও তা প্রত্যাখ্যান করেন নির্বাচনী কর্তৃপক্ষের প্রধান।
এদিকে ভোট গণনায় জালিয়াতির অভিযোগ এনে ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করার কথা জানিয়েছেন মাদুরোর মূল প্রতিদ্বন্দ্বী এদমান্দো গঞ্জালেজ। এ ছাড়া অনেক নাগরিকের দাবি, দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকার সুযোগে নির্বাহী বিভাগের পাশাপাশি আইন ও বিচার বিভাগের ওপর অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ অর্জন করেছে মাদুরোর দল। সেই প্রভাব মাদুরো নির্বাচনেও কাজে লাগিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।