ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের হাতে থাকা অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্ত করতে গোষ্ঠীটির দেওয়া তিন ধাপের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব বিবেচনা করছে ইসরায়েল। গতকাল বুধবার এক অপ্রত্যাশিত ও অস্বাভাবিক বিবৃতিতে বিষয়টি জানিয়েছে দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জেরুসালেম পোস্টের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গাজায় হামাসের হাতে এখনো আনুমানিক প্রায় ১২০ জন জিম্মি রয়ে গেছে। তাদের মুক্ত করতে হামাসের দেওয়া যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব বিবেচনা করছে ইসরায়েল জানিয়ে এক বিবৃতিতে মোসাদ বলেছে, ‘জিম্মি চুক্তির মধ্যস্থতাকারীদের আলোচনাকারী দল হামাস উত্থাপিত জিম্মি চুক্তির রূপরেখা ইসরায়েলকে অবহিত করেছে। ইসরায়েল এটি মূল্যায়ন করছে এবং মধ্যস্থতাকারীদের কাছে জবাব দেবে।’
এর আগে, গতকাল বুধবার হামাসের একটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছে, তারা গাজায় যুদ্ধ শেষ করতে মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে নতুন কিছু ধারণা শেয়ার করেছে। উল্লেখ্য, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার মধ্যস্থতা করছে কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ব্যক্তিগতভাবে গাজায় যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে জিম্মিদের উদ্ধারে একটি চুক্তি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কূটনৈতিক নেতৃত্ব দিয়েছেন। গত ৩১ মে হোয়াইট হাউস থেকে তিনি গাজায় যুদ্ধবিরতির বিষয়ে নিজস্ব একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেন। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ বাইডেন উত্থাপিত এই প্রস্তাবকে সমর্থনও করেছে।
ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর একটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছে, ‘হামাস এমন একটি রূপরেখার ওপর জোর দিয়ে চলেছে, যা ইসরায়েলকে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের প্রথম ধাপ কার্যকর করার পর গাজায় যুদ্ধে ফিরে আসতে বাধা দেবে। বিষয়টি ইসরায়েলের কাছে অগ্রহণযোগ্য।’ সূত্রটি আরও বলেছে, ‘প্রস্তাবে আরও অনেকগুলো ফাঁকফোকর আছে, যা এখনো বন্ধ করা হয়নি।’
ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীসংশ্লিষ্ট ওই সূত্র আরও বলেছে, ‘ইসরায়েল আমাদের জীবিত ও মৃত উভয় ধরনের প্রায় ১২০ জন জিম্মিকে মুক্ত করার জন্য সামরিক ও কূটনৈতিক চাপ অব্যাহত রেখে আলোচনা চালিয়ে যাবে।’