আবারও পুরোপুরি বন্ধ করা হয়েছে গাজার মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেটের সংযোগ। গাজা উপত্যকায় ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোন নেটওয়ার্কের আন্তর্জাতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে প্যালেস্টাইন টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি (প্যালটেল)। আজ বুধবার প্যালটেল এ তথ্য জানিয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) শেয়ার করা এক পোস্টে প্যালটেল ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে। প্রতিষ্ঠানটি ওই পোস্টে লেখে, ‘আমাদের প্রিয় দেশবাসীর প্রতি: আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত যে গাজা উপত্যকার যোগাযোগ ও ইন্টারনেটের সংযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।’
এর আগেও একবার গাজার বিদ্যুৎ, টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট-সেবা পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকার পর গত ২৯ অক্টোবর গাজায় আবারও চালু হয় ইন্টারনেট ও ফোনের সংযোগ। অবরুদ্ধ ফিলিস্তিন অঞ্চলে ইন্টারনেট ও ফোনের সংযোগ ফিরে আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সেখানে যোগাযোগসেবা দেওয়া প্রতিষ্ঠান প্যালটেল।
অঞ্চলটির ইন্টারনেট, বিদ্যুৎ ও ফোনের সংযোগ বন্ধ করে দেয় ইসরায়েল। ফলে যোগাযোগবিচ্ছিন্নের পাশাপাশি অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে পড়ে গাজা। এই অবস্থা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো জানিয়েছিল, অঞ্চলটিতে ইসরায়েল যে যুদ্ধাপরাধ চালাচ্ছে, তার প্রমাণ লোপাট, নষ্ট ও আড়াল করার সুযোগ তৈরি হয়েছে এই ইন্টারনেট, ফোনের সংযোগ ও বিদ্যুৎহীনতার কারণে।
এদিকে গাজার ইন্টারনেটহীন পরিস্থিতিতে সহায়তার জন্য এগিয়ে এসেছেন বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক ও তাঁর প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স। গতকাল শনিবার টেসলা, স্পেসএক্স ও এক্সের (সাবেক টুইটার) মতো প্রতিষ্ঠানের মালিক ইলন মাস্ক গাজায় আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোকে ইন্টারনেট সরবরাহের ঘোষণা দেন। নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে শেয়ার করা এক টুইটে এ ঘোষণা দেন।
টুইটে ইলন মাস্ক লেখেন, ‘গাজায় কর্মরত আন্তর্জাতিক সহায়তা সংগঠনগুলোকে ইন্টারনেট সংযোগের সুবিধা দেবে স্টার লিংক।’ এই টুইটের ঘণ্টাখানেক পর তিনি আরও লেখেন, ‘আমরা জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃত সহায়তা গোষ্ঠীগুলোকে সহযোগিতা দেব।’