জর্ডান-সিরিয়া সীমান্তে জর্ডান সেনাবাহিনীর গুলিতে ২৭ মাদক পাচারকারী নিহত হয়েছেন। পাশাপাশি ওই এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ অ্যাম্ফিটামিন জাতীয় মাদক ক্যাপ্টাগন। জর্ডানিয়ান সেনবাহিনীর একজন মুখপাত্রের বরাত দিয়ে এমনটি জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
জর্ডানের সেনবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়, আজ বৃহস্পতিবার ভোরে সীমান্ত এলাকায় তুষারঝড় চলছিল। ওই সময় একদল ব্যক্তি সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে প্রবেশের চেষ্টা করার সময় প্রথমে তাদের থামার সংকেত দেওয়া হয়, কিন্তু তাতে কাজ না হওয়ায় গুলি চালানো হয়।
সেনা সদস্যদের গুলিতেই নিহত হয় এই ২৭ জন। বাকিরা পিছু হটে সিরিয়ায় ফের ঢুকে পড়তে সক্ষম হয়। পিছু হটার সময় বিপুল পরিমাণ ক্যাপ্টাগন মাদক পাচারকারী ফেলে যায়। তবে সীমান্তের ঠিক কোন এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে, তা উল্লেখ করা হয়নি জর্ডান সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে।
গত কয়েক বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধ ও জাতিগত সংঘাতে বিধ্বস্ত সিরিয়া বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্য এলাকার মাদক ব্যবসায়ী ও চোরাচালান কারীদের একপ্রকার স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের অ্যাম্ফিটামিন জাতীয় মাদকের জোগান প্রায় পুরোটাই আসে সিরিয়া থেকে।
মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় অঞ্চলের ধনী দেশগুলোতে ক্যাপ্টাগনের চালান পাঠাতে জর্ডানকে করিডর হিসেবে ব্যবহার মাদক পাচারকারীরা। জর্ডানের নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তাদের অভিযোগ, এই মাদকপাচারকারীদের সবচেয়ে বড় আশ্রয়দাতা হলো ইরানের মদদপুষ্ট রাজনৈতিক গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চল মূলত এই গোষ্ঠীটিই নিয়ন্ত্রণ করে। তবে হিজবুল্লাহ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জর্ডানের নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সিরিয়ার ক্ষমতাসীন সরকার ও রাশিয়াকে এ বিষয়ে সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে অভিযোগ জানানো হয়েছে।
জাতিসংঘের মাদক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জর্ডান, ইরাক ও ইউরোপের মাদকের প্রধান উৎপাদন কেন্দ্র হয়ে উঠেছে এক দশকের গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত সিরিয়া।