ইসরায়েলে ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্ত করতে তাদের কাছে যথেষ্ট ইসরায়েলি বন্দী রয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। হামাসের একজন সিনিয়র নেতা আল জাজিরাকে বলেছেন, ‘আমরা ইসরায়েলে হামলা করে তাদের অনেক সৈন্য গ্রেপ্তার করেছি, যা ইসরায়েলে বন্দী ফিলিস্তিনিদের মুক্তির জন্য যথেষ্ট।’
মানবাধিকার এনজিও অ্যাডামিরের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে, প্রায় ৫ হাজার ২০০ ফিলিস্তিনি ইসরায়েলের কারাগারে রয়েছে, যার মধ্যে ৩৩ জন নারী, ১৭০টি শিশু ও ১ হাজার ২০০ জনের বেশি প্রশাসনিক বন্দী রয়েছেন।
হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর ডেপুটি চিফ সালেহ আল-আরৌরি বলেছেন, ‘আমরা অনেক ইসরায়েলি সৈন্যকে হত্যা ও বন্দী করতে পেরেছি। লড়াই এখনো চলছে।’
আল-আরৌরি বলেন, ‘আমাদের হাতে অনেক বন্দী আছে। লড়াই যত দীর্ঘ হবে, বন্দীদের সংখ্যা তত বাড়বে। বন্দীদের মধ্যে সিনিয়র অফিসাররাও আছেন।’ তবে তাদের হাতে কতজন বন্দী আছে, সেই পরিসংখ্যান পাওয়া যায়নি।
এদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী স্বীকার করেছে, তাদের সৈন্য ও কমান্ডারদের হত্যা করা হয়েছে এবং যুদ্ধবন্দীদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এটিরও কোনো পরিসংখ্যান দেয়নি তারা।
ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস শনিবার ইসরায়েলে সবচেয়ে বড় হামলা চালায়। প্রায় ৩০০ ইসরায়েলিকে হত্যা করে, আহত হয়েছে শত শত। এদিকে হামাসের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলো ইসরায়েলি বন্দীদের গাজা উপত্যকায় জীবিত স্থানান্তরিত হওয়ার ফুটেজ পোস্ট করেছে।
ইসরায়েলে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হামলায় নিহত বেড়ে ৩০০ জনে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে হামাসের হামলার পর গাজায় পাল্টা বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এ পর্যন্ত কমপক্ষে ২৫০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
এত বড় হামলা চালানোর জন্য ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের অভিনন্দন জানিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আলি খামেনির এক উপদেষ্টা।
সৌদি আরব ও মিসর দ্রুত এই যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। একই সঙ্গে সৌদি আরব দুটি রাষ্ট্রের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।