হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরুর প্রায় এক মাস পর প্রথমবারের মতো কথা বলেছেন লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ। আজ শুক্রবার হিজবুল্লাহর আল-মানার টিভিতে এক ভাষণে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন তিনি। তবে ওই ভাষণে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ ঘোষণা করেননি নাসরুল্লাহ। যদিও অনেকে ধারণা করেছিলেন, তিনি হয়তো যুদ্ধের ঘোষণা দেবেন। কিন্তু তিনি কেন এটি করলেন না?
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির লেবাননভিত্তিক আন্তর্জাতিক বিষয়াবলির সাংবাদিক ওরলা গুরেন বিষয়টি বিশ্লেষণ করেছেন।
ওরলা গুরেন বলেছেন, নাসরুল্লাহ ভালো করে জানেন, লেবাননের মানুষ এই মুহূর্তে ইসরায়েলের সঙ্গে পূর্ণমাত্রার কোনো যুদ্ধ চান না। কারণ, বর্তমানে অনেক সমস্যায় জর্জরিত লেবানন। দেশটির অর্থনীতি ভঙ্গুর অবস্থায় আছে। এ ছাড়া লেবাননের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিও স্থিতিশীল নেই।
এ ছাড়া হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ শুরুর পর ভূমধ্যসাগরে ইসরায়েলের কাছাকাছি দুটি বিমানবাহী রণতরী নিয়ে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ বিষয়টিও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হিজবুল্লাহর যুদ্ধ ঘোষণা না করার অন্যতম কারণ হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধে না জড়ালেও ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে বিক্ষিপ্ত হামলা চালাচ্ছেন হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা। গত ৮ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের বিভিন্ন সামরিক অবকাঠামোয় হামলায় চালিয়েছেন তাঁরা। এতে কমপক্ষে ১২০ ইসরায়েলি সেনা হতাহত হয়েছেন। আবার ইসরায়েলিদের হামলায়ও হিজবুল্লাহর ৫৭ যোদ্ধা নিহত হয়েছেন।