মঙ্গলবার লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর ব্যবহার করা কয়েক হাজার পেজার একযোগে বিস্ফোরিত হয়েছে অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন প্রায় তিন হাজার। একদিন পার হতে না হতেই বুধবার দেশটিতে আবারও এ ধরনের আরেক দফা বিস্ফোরণের খবর দিয়েছে বিবিসি। নতুন বিস্ফোরণেও নিহত ও আহতের খবর পাওয়া যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময় বুধবার রাতে রয়টার্সের বরাত দিয়ে এক লাইভ প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, হিজবুল্লাহর ব্যবহৃত যোগাযোগের যন্ত্রগুলো লেবাননের দক্ষিণে বৈরুতের দক্ষিণ উপকণ্ঠে বিস্ফোরিত হয়েছে। মঙ্গলবারের পেজার বিস্ফোরণে নিহত চারজনকে বিদায় জানাতে বৈরুতের দক্ষিণে অবস্থিত দাহিয়েহ এলাকায় জড়ো হয়েছিলেন অনেকে। সেখানেও বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
ওই শেষকৃত্যানুষ্ঠানে নারী ও শিশু সহ সব বয়সের মানুষই ছিলেন। নিহতদের কফিন নিয়ে শোকযাত্রাটি শুরু হওয়া মাত্রই বিস্ফোরণ ঘটে। শুরুতে অনেকে এই বিস্ফোরণকে আতশবাজি ভেবেছিলেন। কিন্তু পরক্ষণেই সেখানে চিৎকার, চেঁচামেচি ছাড়াও অনেককে ঘটনাস্থল থেকে দৌড়ে পালাতে দেখা গেছে।
একটি নিরাপত্তা সূত্র রয়টার্সকে বলেছে, লেবাননে সর্বশেষ হামলায় হাতে রাখা রেডিও যন্ত্রগুলোকে (ওয়াকি-টকি) লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। সূত্রটি এটাও জানিয়েছে, ওই রেডিও যন্ত্রগুলো মঙ্গলবার বিস্ফোরিত হওয়া পেজারগুলোর সঙ্গে পাঁচ মাস আগেই কেনা হয়েছিল।
লেবাননের রাষ্ট্রচালিত ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি নতুন বিস্ফোরণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, ওয়াকি-টকি বিস্ফোরণের সর্বশেষ ধাক্কায় অন্তত ৯ জন মানুষ নতুন করে নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৩০০ মানুষ। বেশ কয়েকজন আহত ব্যক্তিকে রাজধানী এবং বেকা উপত্যকায় অবস্থিত বালবেকের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার পেজার বিস্ফোরণের জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে হিজবুল্লাহ। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বদলা নেওয়ারও অঙ্গীকার করেছে তারা। আজ বুধবার এক বিবৃতিতে গোষ্ঠীটি বলেছে, প্রাণঘাতী পেজার বিস্ফোরণের ঘটনা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তাদের অভিযানের তীব্রতাই শুধু বাড়াবে। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বিকেল পাঁচটায় এ নিয়ে ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহর।