হোম > বিশ্ব > যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা

বিদেশি কর্মীদের ‘এইচ-১বি’ ভিসা নিয়ে নরম হলেন ট্রাম্প, কিন্তু কেন

অনলাইন ডেস্ক

আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২: ২৭
ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইলন মাস্ক। ছবি: সিএনএন

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট-নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্প শনিবার বিদেশি কর্মীদের জন্য বিশেষায়িত ভিসা কর্মসূচি (এইচ-১বি) নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। নিউইয়র্ক পোস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই ভিসা কর্মসূচির প্রতি তিনি সমর্থন প্রকাশ করেছেন।

এ বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি সব সময় এই ভিসার পক্ষে ছিলাম। এ কারণেই আমাদের এই ভিসা প্রোগ্রাম রয়েছে। এটি একটি অসাধারণ কর্মসূচি।’

এদিকে রোববার সিএনএন জানিয়েছে, ট্রাম্প যখন প্রথমবার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন, সেই সময় তিনি এইচ-১বি ভিসা কর্মসূচি সীমিত করেছিলেন এবং প্রোগ্রামটির কঠোর সমালোচনা করেছিলেন। তবে ২০২৪ সালের নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষিত বিদেশি কর্মীদের জন্য আইনি বৈধতার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।

ট্রাম্পের মিত্রদের মধ্যে ইতিপূর্বে ইলন মাস্ক এইচ-১বি ভিসার পক্ষে সবচেয়ে জোরালো সমর্থন দেখিয়েছিলেন। তিনি নিজেও এই ভিসার মাধ্যমেই যুক্তরাষ্ট্রে কাজ শুরু করেছিলেন। বিগত দিনগুলোতে এই ভিসার গুরুত্ব নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমর্থন ব্যক্ত করেন তিনি।

গত শুক্রবার মাস্ক লেখেন, ‘এইচ-১বি ভিসা নিয়ে আমি যুদ্ধ করতে প্রস্তুত। এ কারণেই আমি আমেরিকায় আছি এবং এর মাধ্যমেই স্পেসএক্স, টেসলার মতো শত শত প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে।’

মাস্কের পাশাপাশি, সরকারি দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য নবগঠিত বিভাগের দায়িত্বে থাকা বিবেক রামাস্বামীও এই প্রোগ্রামটির পক্ষে কথা বলেছেন। তবে এই সমর্থন ট্রাম্পের কিছু অনুগত ও সমর্থকের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি করেছে। ট্রাম্পের সাবেক সহযোগী স্টিভ ব্যানন তাঁর পডকাস্টে এই ভিসা প্রোগ্রামকে ‘প্রতারণা’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।

জানা গেছে, এইচ-১বি ভিসার প্রোগ্রামের মাধ্যমে প্রতিবছর ৬৫ হাজার বিদেশি কর্মী যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার সুযোগ পান। এসব কর্মীকে কিছু নির্দিষ্ট ও বিশেষায়িত কাজের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র থেকে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনকারী আরও ২০ হাজার কর্মী এই প্রোগ্রামের আওতায় ভিসা পান।

অর্থনীতিবিদেরা মনে করেন, এই প্রোগ্রামটি যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোর প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতা বজায় রাখতে এবং ব্যবসা সম্প্রসারণে সাহায্য করে।

ট্রাম্প তাঁর ২০১৬ সালের নির্বাচনী প্রচারণায় এইচ-১বি ভিসার তীব্র সমালোচনা করেছিলেন। তিনি অভিযোগ করেছিলেন, স্থানীয় কর্মীদের বাদ দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলো এই প্রোগ্রাম ব্যবহার করে কম মজুরিতে বিদেশি কর্মীদের নিয়োগ দিচ্ছে।

তবে ২০২৪ সালের প্রচারণায় তিনি এই প্রোগ্রামের প্রতি উদার মনোভাব দেখিয়েছেন। ট্রাম্পের সাম্প্রতিক মন্তব্যগুলো তাঁকে প্রযুক্তি উদ্যোক্তা মাস্কের আরও কাছে নিয়ে এসেছে।

শুক্রবার সোশ্যাল মিডিয়ায় মাস্কের প্রতি একটি ব্যক্তিগত বার্তা পোস্ট করেন ট্রাম্প। যেখানে তিনি জানতে চান, মাস্ক কবে আবার তাঁর ফ্লোরিডার মার-এ-লাগো পরিদর্শনে যাবেন। ট্রাম্পের এই পোস্ট মাস্কের প্রতি তাঁর সমর্থন নীতিগত অবস্থানের একটি পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়।

তবে ট্রাম্পের এই অবস্থান তাঁর ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ সমর্থকদের মধ্যে মতভেদ তৈরি করেছে। তাঁরা অভিবাসন সীমিত করার পক্ষে।

গ্রাহক না হলে বাথরুম ব্যবহার করতে দেবে না স্টারবাকস

ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে মার্কিন নিয়ন্ত্রক সংস্থার মামলা

ট্রাম্পের হবু প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হেগসেথ নিজের সন্তানের নাম ভুলে গেছেন

মার্কিন পর্বতমালার নিচে বিশ্বের বৃহত্তম জলাধার আবিষ্কারের দাবি

সেকশন