রাশিয়া কৃষ্ণসাগরে ইউক্রেনের সঙ্গে শস্য চুক্তি নবায়ন করলে বিশ্ব বাজারে রাশিয়ার শস্য রপ্তানির সুযোগ করে দিতে ‘যা প্রয়োজন’ যুক্তরাষ্ট্র তাই করবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। গতকাল বৃহস্পতিবার ব্লিঙ্কেন এমনটি জানিয়েছে বলে রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে।
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরুর পর ২০২২ সালের জুলাইয়ে জাতিসংঘ এবং তুরস্কের মধ্যস্থতায় এক বছর মেয়াদি শস্য চুক্তি হয়। মেয়াদ শেষ হওয়ায় রাশিয়া গত মাসে এ চুক্তি থেকে বেরিয়ে গেছে। এতে পশ্চিমা বিশ্বে খাদ্যপণ্যর দাম বাড়ছে লাফিয়ে। বাজার নিয়ন্ত্রণে চুক্তিটি নবায়ন করতে মরিয়া হয়ে পড়েছে ইউক্রেন ও তার মিত্ররা।
ব্লিঙ্কেন জাতিসংঘে সাংবাদিকদের বলেন, ‘চুক্তিতে ফিরে যেতে রাশিয়াসহ সব দেশের খাদ্য ও খাদ্যজাতীয় পণ্য বিশ্বের বাজারে রপ্তানির সুযোগ করে দিতে ‘যা যা করা দরকার’ আমরা তাই করব। আমরা বিশ্ববাজারে সেসব খাদ্য দেখতে চাই। আমরা চাই কম দামে খাদ্যপণ্য বিক্রি হোক এবং সবাই লাভবান হোক।’
ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট খাদ্য নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে সভাপতিত্ব করার পর এসব কথা বলেন ব্লিঙ্কেন। বৈঠকে অনেক দেশ হতাশা প্রকাশ করেছে যে, রাশিয়া চুক্তি থেকে বেরিয়ে গেছে তাদের চাপে ফেলার জন্যই।
রাশিয়াকে কৃষ্ণ সাগর চুক্তিতে সম্মত হতে রাজি করার জন্য ২০২২ সালের জুলাইয়ে আরেকটি চুক্তিও হয়েছিল। ওই চুক্তিতে জাতিসংঘের কর্মকর্তারা রাশিয়াকে খাদ্য এবং সার বিদেশি বাজারে রপ্তানির অনুমতি দিতে সম্মত হয়েছিল।
বৃহস্পতিবারের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে জাতিসংঘে নিয়োজিত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত দিমিত্রি পলিয়ানস্কি জানান, মস্কোর সঙ্গে জাতিসংঘের চুক্তি করতে পশ্চিমা দেশগুলোর ‘অহংকার ও অনিচ্ছা’ রয়েছে। ইউক্রেনের চেয়ে বিশ্বব্যাপী রাশিয়ার বড় গম ও সারের বাজারের বিষয়টিও তিনি জোর দিয়ে তুলে ধরেন।
পলিয়ানস্কি বলেন, পশ্চিমা দেশগুলোকে নিশ্চিত করতে হবে যে রাশিয়ার শস্য ও সার কোনো বাধা ছাড়াই প্রয়োজনীয় দেশগুলোতে পৌঁছাতে পারে।