অনলাইন ডেস্ক
ফ্লোরিডায় অবস্থিত ডোনাল্ড ট্রাম্পের মার-এ-লাগো রিসোর্টে একটি নৈশভোজে অংশগ্রহণ করেছেন মেটার প্রধান মার্ক জাকারবার্গ। ট্রাম্প ও জাকারবার্গের এই সাক্ষাৎকে তাঁদের শীতল সম্পর্কের বরফ গলার ইঙ্গিত বলে মনে করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার বিবিসি জানিয়েছে, ২০২০ সালের মার্কিন নির্বাচনে পরাজয়ের পর ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গার ঘটনায় ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম থেকে ট্রাম্পকে নিষিদ্ধ করেছিল মেটা। এই ঘটনার জের ধরে সম্প্রতি ট্রাম্প জাকারবার্গকে আজীবনের জন্য জেলে পাঠানোর হুমকি দিয়েছিলেন।
তবে অতীত সম্পর্কের উন্নতির লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। মেটার এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘মার্ক ডিনারের আমন্ত্রণ পেয়ে কৃতজ্ঞ এবং নতুন প্রশাসনের সঙ্গে আমেরিকার উদ্ভাবনী শক্তি নিয়ে আলোচনা করেছেন।’
গত আগস্টে ট্রাম্প তাঁর এক বইয়ে লিখেছিলেন—জাকারবার্গ যদি ২০২৪ সালের নির্বাচন প্রভাবিত করার চেষ্টা করেন, তবে তাঁকে বাকি জীবন জেলে কাটাতে হবে। যদিও গত অক্টোবরে এক পডকাস্টে ‘নির্বাচন থেকে দূরে থাকার’ জন্য জাকারবার্গের প্রশংসা করেন ট্রাম্প।
জানা যায়, ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিল দাঙ্গার জন্য ট্রাম্পকে মেটা কর্তৃপক্ষ নিষিদ্ধ করলেও ২০২৩ সালে সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছিল।
বিবিসি বলেছে, জাকারবার্গ ও ট্রাম্পের সম্পর্কে উন্নতি হলেও, ট্রাম্পের সঙ্গে ইলন মাস্কের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এখন আলোচনার কেন্দ্রে। ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণায় ১০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি সহায়তা দিয়েছেন মাস্ক। নির্বাচনে জয় লাভের পর মাস্ককে ‘ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট অ্যাফিসিয়েন্সি’ নামে নতুন একটি বিভাগের প্রধান করেছেন ট্রাম্প।
প্রযুক্তি জগতে জাকারবার্গ এবং ইলন মাস্কের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা দীর্ঘদিনের। তাদের মধ্যে ব্যবসায়িক ও ব্যক্তিগত উত্তেজনাও রয়েছে। এমনই একটি ঘটনা ঘটেছিল ২০১৬ সালে। সেবার ইলন মাস্কের স্পেসএক্সের একটি রকেট বিস্ফোরণে ফেসবুকের স্যাটেলাইট ধ্বংস হয়েছিল বলে জানা যায়।
ট্রাম্পের সম্পর্ক উন্নতির চেষ্টা চললেও ইলন মাস্কের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা জাকারবার্গের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভবিষ্যতে এই সম্পর্ক কেমন প্রভাব ফেলবে, তা এখন দেখার বিষয়।