হোম > বিশ্ব > যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা

কংগ্রেস–বিচার বিভাগে নজিরবিহীন আধিপত্য ট্রাম্পের, নতুন যুগসন্ধিতে আমেরিকা

অনলাইন ডেস্ক

দ্বিতীয় মেয়াদে নিকট ইতিহাসে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নজিরবিহীন ক্ষমতার অধিকারী হতে যাচ্ছেন ট্রাম্প। ছবি: এক্সিওসের সৌজন্যে

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয় থেকে অল্প একটু দূরে। আর মাত্র ৩টি ইলেক্টোরাল ভোট পেলেই তাঁর জয় নিশ্চিত। তবে কেবল প্রেসিডেন্ট নির্বাচনই নয়, ট্রাম্পের দল বাজিমাত করেছে দেশটির পার্লামেন্ট কংগ্রেসেও। কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে ও নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পথে তাঁর দল।

মার্কিন সিনেটে এরই মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করেছে রিপাবলিকান পার্টি। দলটি সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় ৫১টি আসন এরই মধ্যে পেয়ে গেছে। নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের পথে আছে দলটি। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় ২১৮টি আসনের মধ্যে এরই মধ্যে রিপাবলিকানরা ২০০টি আসন নিশ্চিত করেছে। অনুমান করা হচ্ছে, এখানেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে ট্রাম্পের দল।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টই এ ধরনের নজিরবিহীন সুবিধাজনক অবস্থানে আসতে পারেনি। কেবল পার্লামেন্ট তথা আইনসভায় নয়, ট্রাম্পের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মার্কিন বিচার বিভাগেও। কারণ, দেশটির ফেডারেল বিচার বিভাগের অধিকাংশ বিচারকই তাঁর আমলে নিয়োগ দেওয়া। সেই অর্থে না হলেও, এই বিচারকেরা কিছুটা হলেও ট্রাম্পের নীতির অনুকূলে কাজ করবেন।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার জ্যেষ্ঠ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মারওয়ান বিশারা বলেছেন, ট্রাম্পের জয় এবং কংগ্রেসে তাঁর দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা, যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে একটি ‘ভূমিকম্প’ সৃষ্টি করবে এবং এই বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে এবং বহির্বিশ্বে দুই জায়গাতেই ব্যাপক পরিবর্তন আনবে।

বিশারা বলেন, ‘আমরা এমন এক প্রেসিডেন্টের কথা বলছি, যার দল সিনেট নিয়ন্ত্রণ করছে এবং তাঁর নিয়োগ করা বিচারকেরা সুপ্রিম কোর্টে আছেন। এই ব্যক্তি—ডোনাল্ড ট্রাম্প—এই অবস্থায় এমন কিছু করতে সক্ষম হবেন, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বেশির ভাগ প্রেসিডেন্টের পক্ষেই অসম্ভব ছিল।’ বিশারা বলছেন, ট্রাম্প ইউক্রেনকে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শেষ করতে ছাড় দেওয়ার জন্য চাপ দিতে পারেন এবং বৈশ্বিক বাণিজ্যে আরও বাড়তি শুল্ক আরোপের পক্ষে অবস্থান নিতে পারেন।

মারওয়ান বিশারার কথা থেকে এটি স্পষ্ট যে, ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদে নিকট ইতিহাসে এক নজিরবিহীন সুবিধাজনক অবস্থানে থাকবেন। অর্থাৎ, যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভা, বিচার বিভাগ এবং নির্বাহী প্রশাসনে—এই বিবেচনায় তিনি এক প্রকার একচ্ছত্র আধিপত্য পেতে যাচ্ছেন। আর এই বিষয়ে জাতীয় থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক সব বিষয়ে তাঁর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে ‘আপার হ্যান্ড’ তথা সুবিধাজনক অবস্থানে রাখবে।

এই অর্থে, বিগত কয়েক দশকের ইতিহাসে ট্রাম্পই এমন প্রেসিডেন্ট, যার হাতের মুঠোয় যুক্তরাষ্ট্র তো বটেই সারা বিশ্বের ইতিহাস বদলে দেওয়ার সক্ষমতা বন্দী হতে যাচ্ছে।

তথ্যসূত্র: আল-জাজিরা ও এনবিসি

শপথের দিনেই যেসব নির্বাহী আদেশ দিতে পারেন ট্রাম্প

ব্লিঙ্কেনের সংবাদ সম্মেলন থেকে ফিলিস্তিনি সাংবাদিককে টেনে হিঁচড়ে বের করে দিল

তীব্র ঠান্ডায় ট্রাম্পের অভিষেক ঘরে, ফিরে এল ৪০ বছর পুরোনো ঘটনা

যুক্তরাষ্ট্রে দাবানলে প্রাণহানি বেড়ে ২৭

টিকটক নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিল যুক্তরাষ্ট্র

ট্রাম্পের অভিষেক: সি আমন্ত্রণ পেলেও পাননি মোদি, থাকছেন আরও যাঁরা

ট্রাম্পের শপথের আগেই বার্নিকাটসহ তিন কূটনীতিককে পদত্যাগের নির্দেশ

লস অ্যাঞ্জেলেসে দাবানলে ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের এক সপ্তাহ পর বাড়ি ফেরার পরামর্শ

দাবানলে পোড়া ভিটেমাটিতে এখন শুধুই হাহাকার, লস অ্যাঞ্জেলেসের বিপদ তবু কাটেনি

বন্ধ হচ্ছে আদানির ১০০ বিলিয়ন ডলার গায়েব করা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ

সেকশন