অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসিতে বসবাস করছেন নার্সিং হোম মোগল হিসেবে পরিচিতি ৯১ বছর বয়সী ফরেস্ট প্রিস্টন। প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ব্যবসায়িক সাম্রাজ্য তাঁর। কিন্তু সম্প্রতি প্রিস্টনের ৬৫ বছর বয়সী ছেলে অব্রে প্রিস্টন বাবার বর্তমান স্ত্রীর বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন।
এ বিষয়ে ফোর্বস জানিয়েছে, মামলায় বাবার চেয়ে বয়সে ৩৬ বছরের ছোট তাঁর বর্তমান স্ত্রী কিম ফুয়ং নুগুয়েনের বিরুদ্ধে কোটি কোটি ডলার আত্মসাৎ এবং বাবাকে তিলে তিলে মেরে ফেলার অভিযোগ এনেছেন আব্রে। তিনি দাবি করেছেন, তাঁর বাবা ফরেস্ট প্রিস্টন ডিমেনশিয়ার রোগী। এই সুযোগে কিম এবং তাঁর পরিবার ইতিমধ্যে ফরেস্টের কাছ থেকে কয়েক মিলিয়ন ডলার হাতিয়ে নিয়েছে।
ফরেস্ট প্রিস্টন আমেরিকার লাইফ কেয়ার সেন্টারের মালিক। এটি মূলত যুক্তরাষ্ট্রের নার্সিং হোমগুলোর একটি বৃহত্তম ব্যক্তিগত চেইন। ছেলে আব্রের অভিযোগ, তিন বিলিয়ন ডলারের ব্যবসায়িক সাম্রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ নিতে বাবাকে নিয়ে নানা ধরনের কারসাজি করছেন সৎ মা কিম। অথচ এই ব্যবসা পরিচালনার জন্য কোনো অভিজ্ঞতাই নেই কিমের। কিন্তু পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে, প্ররোচনায় পড়ে কিমকে কোম্পানির সিইও পদ দিতে চাইছেন ফরেস্ট।
কিম এবং তাঁর ভাই-বোনেরা ইতিমধ্যে কয়েক মিলিয়ন ডলার মূল্যের বাড়ি সহ বেশ কিছু সম্পদ হাতিয়ে নিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেছেন আব্রে। মামলায় তিনি উল্লেখ করেছেন, তাঁর বাবার সঙ্গে তাঁকে দেখা করতেও বাধা দিয়েছেন কিম। অথচ ফরেস্ট প্রিস্টনের সঙ্গে তাঁর সন্তানদের সম্পর্ক অনেক ভালো।
এ অবস্থায় বাবার সুরক্ষায় আইনিভাবে নিজেকে নিযুক্ত করতে চাইছেন আব্রে। তিনি যুক্তি দিয়েছেন, ফরেস্ট আর তাঁর ব্যবসা চালাতে সক্ষম নন। ফলে কোনো অভিজ্ঞতা ছাড়াই নার্সিং হোমের ব্যবসায় হস্তক্ষেপ করছেন কিম।
আব্রের মামলায় কোম্পানির আর্থিক সংগ্রামের বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে। বিশেষ করে, করোনা মহামারির পর এই কোম্পানি আর্থিক টানাপোড়েনের মধ্যে পড়েছিল। তাই বাবা এবং বাবার কোম্পানি উভয়কে রক্ষা করাই তাঁর লক্ষ্য।
আগের স্ত্রীর মৃত্যুর পর ২০১৮ সালে ফরেস্ট প্রিস্টন কিমকে বিয়ে করেছিলেন। ফরেস্টের ছেলের অভিযোগের বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।
আমেরিকা জুড়ে লাইফ কেয়ার সেন্টারের অন্তত ২০০টি শাখা রয়েছে। এই কোম্পানির সিইও হিসেবে এখনো ফরেস্ট প্রিস্টনই রয়েছেন।