প্রেজেন্টেশন ভালো করার পাঁচ কৌশল

প্রকাশ : ০৮ মে ২০২৪, ০৯: ০১

শিক্ষা হোক বা কর্মজীবন—সব ক্ষেত্রেই প্রয়োজনীয় একটি দক্ষতা হলো প্রেজেন্টেশন। প্রেজেন্টেশনের ধরন ও স্লাইড যত বেশি সাধারণ হবে, শ্রোতার কাছে গ্রহণযোগ্যতা ততটাই বেশি পাওয়া যাবে। তাই এ বিষয়ে দক্ষ হয়ে ওঠা খুব জরুরি। ভালো প্রেজেন্টেশন তৈরি করা বা দেওয়ার কৌশল নিয়ে লিখেছেন মো. খশরু আহসান

শ্রোতা সম্পর্কে জেনে নিন
প্রেজেন্টেশনের সময় প্রথমেই উপস্থাপককে বুঝে নিতে হবে, আপনি কাদের জন্য কথা বলবেন। শ্রোতার প্রত্যাশা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা অর্জন করতে হবে। কারণ, কোনো বিষয়ে কথা বলার আগে শ্রোতা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া গেলে সহজেই তাঁদের মনোযোগ আকর্ষণ করা সম্ভব। উল্টো দিকে শ্রোতা মনোযোগী না হলে প্রেজেন্টেশন ভালো হওয়ার সম্ভাবনা শুরুতেই কঠিন হয়ে ওঠে। তাই প্রেজেন্টেশন সহজ করে তোলার জন্য আগে শ্রোতার মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করুন। অনেক সময় নির্ধারিত বিষয়ের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক করে ভিন্ন কিছু কথা বললেও উপস্থাপিত বিষয়টি বেশি সুন্দর হয়, যার মধ্য দিয়ে শ্রোতারা মনোযোগী হয়ে ওঠে। তাই প্রেজেন্টেশন শুরুর আগে শ্রোতা সম্পর্কে জেনে নিন।

ভয়েস রেকর্ডার ব্যবহার করুন
প্রেজেন্টেশন দেওয়ার জন্য অনুশীলন করা খুব জরুরি। অনুশীলন হিসেবে মোবাইলের ভয়েস রেকর্ডারের মাধ্যমে নিজের বক্তব্য রেকর্ড করতে পারেন। রেকর্ড করা শেষে সেই বক্তব্যটি শুনুন। এর মধ্য দিয়ে আপনার কথাগুলো কেমন শোনা যাচ্ছে, ঠিক কোন জায়গাগুলোতে বাচনভঙ্গি ও উচ্চারণ সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে হবে; তা খুব পরিষ্কারভাবে বুঝতে পারবেন। এই চর্চাটি উপস্থাপকের পাশাপাশি শ্রোতার কাছেও প্রেজেন্টেশন সম্পর্কে আস্থাশীল করে তোলে।

আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলার চর্চা করুন
প্রেজেন্টেশনের সময় উপস্থাপককে একসঙ্গে অনেক মানুষের সামনে দাঁড়িয়ে উপস্থাপন করতে হয়। তবে চাইলেই কি আর নিমেষে এত মানুষের সামনে দাঁড়িয়ে অবিরত কথা বলা যায়! তাই আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে। আর এই প্রস্তুতির জন্য আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন। এর মধ্য দিয়ে নিজের অঙ্গভঙ্গি ও অভিব্যক্তি খুব ভালোভাবে প্রকাশ পাবে। মনে রাখতে হবে, প্রেজেন্টেশনের ক্ষেত্রে উপস্থাপকের অঙ্গভঙ্গি খুব গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক অঙ্গভঙ্গি আয়ত্ত করার জন্য নির্ধারিত বিষয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নিজের মুখভঙ্গি, দুই হাতের অবস্থান ও পুরো শরীরের উপস্থাপনা দেখতে কেমন লাগবে, তা আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চর্চা করলে আপনার আত্মবিশ্বাস বেড়ে যাবে।

বুলেট পয়েন্ট এবং কি ওয়ার্ড ব্যবহার করুন
প্রেজেন্টেশন ভালো করার জন্য সম্পূর্ণ বক্তব্যকে ক্রমানুসারে সাজিয়ে উপস্থাপন করতে পারেন। এতে শ্রোতারা পরিষ্কারভাবে আপনার কথা বুঝতে পারবে। পাশাপাশি পুরো বক্তব্য লিখে উপস্থাপন করার চেয়ে কেবল গুরুত্বপূর্ণ শব্দগুলো তুলে ধরতে পারেন। তবে প্রস্তুতি এমন থাকতে হবে, যেন শব্দগুলো দেখেই আপনার সম্পর্কিত পুরো অংশটি মনে পড়ে যায়। এ ক্ষেত্রে আপনি ভিন্ন রঙের একাধিক স্টিকি নোটস ও মূল শব্দগুলোতে হাইলাইটার ব্যবহার করতে পারেন।

উপস্থাপন করুন গল্পের মতো
বর্তমান সময়ের শ্রোতারা ফলাফলে সমৃদ্ধ উপস্থাপনাকে তুলনামূলক বেশি পছন্দ করে। সরাসরি বলা কোনো তথ্য শ্রোতার স্মৃতিতে খুব অল্প সময়ের জন্যই থাকে। বিপরীতে প্রেজেন্টেশনের বিষয়টি প্রাসঙ্গিক কোনো গল্পের সঙ্গে তুলনা করে সেই একই তথ্য দিলেও বেশি সময় ধরে স্মৃতিতে থাকে। তাই আপনার বিষয়টি বাস্তবসম্মত গল্পের আকারে বলার চেষ্টা করুন। পাশাপাশি সামঞ্জস্যপূর্ণ কিছু উদাহরণ দিন ও বক্তব্যের ধারাবাহিকতা বজায় রাখুন। বাস্তবতার সঙ্গে মিলিয়ে ভালো গল্প বলার দক্ষতা আপনার প্রেজেন্টেশন সফল করার ক্ষেত্রে বেশ ভালো কাজে দেবে।

নতুন বছরে লক্ষ্যে পৌঁছানোর একটি শক্তিশালী মাধ্যম

সময় বাঁচানোর কৌশল

২০২৫ সালের উচ্চ বেতনের ও কম চাপের সেরা ১৫ চাকরি

মেশিন লার্নিং কী এবং কেন শিখব