আগামীকাল ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস। রোজা চলছে বলে ছুটির এই দিনে হয়ত সেজেগুজে ঘুরতে বের না হতে পারেন, তবে ঈদের আগে বাড়িতে বড় পরিসরের ইফতারের আয়োজন তো থাকতেই পারে। বন্ধুবান্ধব বা আত্মীয়স্বজন ঈদে বাড়ি যাওয়ার আগে হয়ত এই ছুটির দিনেই শেষবার দেখা হবে। তাই শুধুমাত্র মজাদার ইফতারির আয়োজন না করে, পুরো বাড়িকেও সাজিয়ে তুলতে পারেন। ঝটপট ঘরে প্রাণ ফিরিয়ে আনতে পারে কিন্তু লাল ওসবুজ রঙই!
যদিও অন্দরসজ্জায় একাধারে লাল ও সবুজ রঙের ব্যবহার খুব একটা প্রচলিত নয়। তবে দুটো রংই ঘরে একটা সতেজভাব ফিরিয়ে আনার ক্ষমতা রাখে। লাল রং একদিকে উত্তেজনা ও উদ্দীপনার সঙ্গে যুক্ত, অন্যদিকে সবুজ রং প্রকৃতির সঙ্গে সম্পর্কিত এবং মনে ও চোখে শান্তির অনুভূতি সৃষ্টি করে। এই দুই রঙের সামঞ্জস্যপূর্ণ ব্যবহারে ঘর হয়ে উঠতে পারে আকর্ষণীয় ও প্রাণবন্ত।
অন্দরে লাল ও সবুজ রঙ যেভাবে ব্যবহার করবেন
একটু বুঝেশুনে বিভিন্ন শেডের লাল ও সবুজ রং ব্যবহার করে কিন্তু ঘরে চমৎকার আবেশ সৃষ্টি করা যায়। এই রং দুটোর সঙ্গে সাদা ও ধূসর রঙের ভারসাম্য বজায় রেখে ঘরে তরতাজা লুক দেওয়া যায়। সে ক্ষেত্রে কোন ঘরে কেমন লুক দেবেন, তা নিয়ে আগে ভেবে নিতে হবে।
অতিথি এসেই প্রথমে বসার ঘরেই বসবে। বসার ঘরের অফহোয়াইট দেয়ালের সঙ্গে লাগোয়া একটি বেতের সোফা সোফা বসিয়ে দিতে পারেন। দেয়ালে আর্টিফিশিয়াল লাল ফুলের সবুজ লতা তুলে দিতে পারেন কাঠের ফ্রেমের ওপর দিয়ে। অথবা থাকতে পারে ইনডোর প্ল্যান্ট। দেয়ালে লাল, সবুজ ওয়ালম্যাটও থাকতে পারে। মেঝেতে বিছিয়ে দিন লাল, লালচে গোলাপি বা কমলা রঙের কার্পেট। উষ্ণ আলো জ্বালিয়ে দিলেই ঘর আনন্দ আনন্দ রবে ভরে উঠবে। ছবি: রিনিশ ডিআইওয়াই নেস্টগাঢ় লেমন গ্রিন রং করে নিন শোয়ার ঘরের একটি দেয়াল। অন্য দেয়ালগুলো প্যাস্টেল গ্রিন, ধূসর বা বাদামি হতে পারে। দেয়ালের বিপরীত রঙের সাদা, সি গ্রিন ও লাল বিছানার চাদর ব্যবহার করে শোয়ার ঘরকে করে তুলতে পারেন শক্তির আধার। ছবি: রিনিশ ডিআইওয়াই নেস্টএকটি দেয়াল চোখ বন্ধ করে লাল রং করে ফেলুন। বাকি দেয়ালগুলো ক্রিমি শেডের হতে পারে। অফ হোয়াইট ও লাল পর্দা এই ডাইনিং স্পেসের জন্য আদর্শ। সবুজ রঙের আসবাব এবং গোল ডাইনিং টেবিল এই দৃশ্যের বাড়তি সংযোজন হতে পারে। ইনডোর প্ল্যান্টও রাখতে পারেন। ছবি: রিনিশ ডিআইওয়াই নেস্টএল আকৃতির রান্নাঘরে স্ট্রবেরি লাল রঙের গ্লসি ফিনিশিংয়ের কেবিনেট ভালো মানাবে। সবুজ যোগ করতে চাইলে রান্নাঘরের জানালায় ঝুলিয়ে দিন ইনডোর প্ল্যান্টের টব। মসলার কৌটোগুলোও হতে পারে লাল ও সবুজ রঙের। ছবি: রিনিশ ডিআইওয়াই নেস্টপড়ার ঘরে লাল ও সবুজের সমান ব্যবহার মানসিক চাপ কমাতে সহায়ক। তবে এ ক্ষেত্রে দেয়ালের রং থেকে পর্দা ও পাপোশ পর্যন্ত লাল-সবুজ দুই রঙের খুবই হালকা শেড ব্যবহার করতে হবে। ওয়ার্ম টোনের লাইট ও ইনডোর প্ল্যান্টের ব্যবহারে সুসম্পন্ন করা যেতে পারে পড়ার ঘরের সাজ। ছবি: রিনিশ ডিআইওয়াই নেস্টবেসিন কর্নারেও রাখতে পারেন লাল সবুজের ছোঁয়া। ইনডোর প্ল্যান্ট, আয়নার ফ্রেম, আর্টিফিশিয়াল ফুল ইত্যাদি দিয়ে আনতে পারেন লাল–সবুজের আবহ। ছবি: রিনিশ ডিআইওয়াই নেস্ট