একটা গির্জার ঘড়ি বেজে উঠল দূর থেকে। সেন্ট পলসের ঘড়ি। সাড়ে এগারোটা বাজল...কাছাকাছি একটা কুকুর ডেকে উঠল। আর ঠিক সেই মুহূর্তে...একটা লোক ডান দিকের পাঁচিল থেকে লাফিয়ে ফেলুদার ওপর পড়ল। সঙ্গে সঙ্গে আরেকটা। ফেলুদার হাতের বাক্সটা আর হাতে নেই। সে হাত খালি করে এক ঝটকায় ঘাড় থেকে প্রথম লোকটাকে ফেলে তার উপর হুমড়ি খেয়ে পড়েছে।....'
বুঝতেই পারছেন আগাগোড়া রহস্য-রোমাঞ্চে ভরপুর ফেলুদার একটি কাহিনির কিছুটা অংশ তুলে দিয়েছি। বইয়ের নামটা কী? জানা না থাকলে, লেখাটা শেষ অবধি অপেক্ষা করুন।
তখন ক্লাস থ্রিতে পড়ি। আব্বুর চাকরিসূত্রে থাকি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। ডাক্তার দেখাতে কিংবা ছুটিছাটায় আসা হতো ঢাকায়। বেইলি রোডে খালার বাসা ছিল সাময়িক আস্তানা হিসেবে ভারি প্রিয়। কারণ, দুই খালাতো ভাই নাহিদ ভাইয়া, আর জাহিদ। ওদের সঙ্গে আচ্ছাসে দুষ্টুমির সুযোগ মিলত।
পরের বছর। ক্লাস ফোরে পড়ি। তিন গোয়েন্দা দিয়ে রহস্য-রোমাঞ্চ জগতে পদার্পণ হয়েছে এরই মধ্যে। একদিন নাহিদ ভাইয়ার আলমারি থেকে কি মনে হতে সাহস করে হত্যাপুরী বইটা নিলাম। পড়তে পড়তে খুন-জখম-সাগর–সৈকতময় এক কেসে ফেলুদার সঙ্গে জড়িয়ে পড়লাম আমিও। ব্যাস, পরের কয়েকটা দিন ফেলুদায় বুঁদ হয়ে রইলাম।
ফেলুদার বই মানেই দুই মলাটের মধ্যে একসঙ্গে অনেক কিছু। রহস্যকিহিনি, এককথায় দুর্দান্ত। অ্যাডভেঞ্চার কিংবা ভ্রমণ কাহিনি, অসাধারণ। এখানেই কি শেষ? ইতিহাস, মঞ্চ-সিনেমা, সার্কাস, শিকার কত কিছুর সঙ্গে যে পরিচয় করিয়ে দিল ফেলুদা। তোপসে, লালমোহন গাঙ্গুলিও জায়গা করে নিল আমার বালক মনে। এদের বাস্তব অস্তিত্ব নেই—এটা বিশ্বাস করতে মন চাইত না। এখনো মানতে পারি না।
এর পর থেকে ফেলুদা পড়েই যাচ্ছি। নতুন বই কিনেছি ঢাকার নিউমার্কেট থেকে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার লাইব্রেরি থেকে, কলেজে ওঠার পর নীলক্ষেত থেকে। একই বই কয়েকবারও কিনেছি, পড়েছি।
চেহারাটা ভাসছে লিখতে বসে। সাতাশ বছরের এক তরুণ, বয়স যার আটকে আছে। উচ্চতা ছয় ফুট দুই ইঞ্চি। ঠোঁটে চারমিনার। মার্শাল আর্টে দক্ষ ফেলুদা, সঙ্গের ৩২ কোল্ট রিভলবার ভয়ানক সব অপরাধীদের সঙ্গে লড়াইয়ে বাড়তি সু্বিধা দেয়। তবে তাঁর মূল অস্ত্র ধারালো মগজটা। দুর্দান্ত পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ ক্ষমতা ব্যবহার করে জটিল সব রহস্য সমাধান করে অবলীলায়।
একটা বই পড়ি, নতুন একটা দুয়ার খুলে যায় আমার সামনে। রহস্য-রোমাঞ্চের প্রতি মারাত্মক একটা টান ছিল ছোটবেলায়। ফেলুদা অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় সেই মনটাকেও উন্মাতাল করে তুলল।
‘রাজেনবাবুকে রোজ বিকেলে ম্যাল্-এ আসতে দেখি। মাথার চুল সব পাকা, গায়ের রং ফরসা, মুখের ভাব হাসিখুশি। পুরনো নেপালি জিনিস-টিনিসের যে দোকানটা আছে, সেটায় কিছুক্ষণ কাটিয়ে বাইরে এসে বেঞ্চিতে আধঘণ্টার মতো বসে সন্ধে হব-হব হলে জলাপাহাড়ে বাড়ি ফিরে যান।’ ‘ফেলুদার গোয়েন্দাগিরি’র শুরুটা এভাবেই, দার্জিলিংয়ে। ওটাই ছিল ফেলুদার প্রথম গোয়েন্দা কাহিনি। সন্দেশ পত্রিকায় ছাপা হয়েছিল। ডিসেম্বর ১৯৬৫ থেকে ফেব্রুয়ারি ১৯৬৬ তক। তবে আমার দার্জিলিংকে চেনা শুরু ফেলুদার ‘দার্জিলিং জমজমাট’ বইটি দিয়ে। কারণ ফেলুদার গোয়েন্দাগিরির আগেই আমার পড়া হয়ে যায় দার্জিলিং জমজমাট।
তেমনি তোপসের মতো আমিও কিউরিও যে পুরোনো দুষ্প্রাপ্য জিনিস, সেটা শিখি ফেলুদার কাছ থেকেই। তাই ২০১৭ সালে প্রথমবার ভারত সফরে ওটি, সিমলা, মসুরির মতো লোভনীয় হিল স্টেশনগুলোকে বাদ দিয়ে দার্জিলিংকেই বেছে নিই।
তবে আমার ফেলুদাকে অনুসরণের শুরু আরও আগে। সালটা ২০১৪, জানুয়ারির ৭ তারিখ রাতে স্ত্রী পুনমসহ মধুচন্দ্রমিায় পৌঁছাই কাঠমাণ্ডু। নেপাল আমাকে টেনেছিল, সেই ক্লাস সেভেনে পড়ায় সময়। তখন ফেলুদার যত কাণ্ড কাঠমাণ্ডু পড়েই বলা চলে হিমালয়রাজ্যের শহরটা মনে গেঁথে যায়। এক খুনির পিছু নিয়ে তোপসে আর লালমোহন গাঙ্গুলীসমতে প্রাচীন শহরটিতে হাজির হয়েছিলেন ফেলুদা। তারপর চিরশত্রু মগনলাল মেঘরাজের সঙ্গে টক্কর। নেপালের রাজধানী শহরে যাওয়ার বড় সাধ জাগে কিশোর মনে। বহু বছর বাদে সেটা পূরণ হয়।
একইভাবে ২০১৮ সালে ঋষিকেষের রামঝুলা-লছমন ঝুলা দেখতে যাওয়ার পেছনেও ওই ফেলুদাই। লছমন ঝুলার কথা প্রথম জানতে পারি ফেলুদার ‘বাদশাহী আংটি’ পড়ে। পাহাড়-অরণ্যময় জায়গা না হয়েও ভ্রমণ গন্তব্য হিসেবে ভারতের কলকাতার প্রতি আমার টানটা ফেলুদা এবং কলেজ স্ট্রিটের কল্যাণেই।
তবে গতবার কলকাতায় গিয়ে গোরস্তানে সাবধানের সেই পার্ক স্ট্রিট সিমেট্রিতে একবার ঢুঁ মারতে না পারার যন্ত্রণাটা পোড়াচ্ছে এখনো। আশ্চর্য ব্যাপার ফেলুদার ওই বইয়ের স্মৃতি আমার মনে ভেসে ওঠে এখনো কোনো গোরস্তানে গেলে। বিশেষ করে ওয়ারি এবং বান্দুরার খ্রিষ্টান গোরস্তানটায় যখন গিয়েছি, অনুভূতিটা প্রকট হয়ে উঠেছে। আবার গত বছর বরিশাল শহরের গাছগাছালিময় একটি মুসলিম কবরস্তানে গিয়েও কেমন ফেলুদা ফেলুদা মনে হচ্ছিল নিজেকে।
আমার ধারণা রহস্য-রোমাঞ্চ-ইতিহাসের রাজ্যে ঢুঁ মারার পাশাপাশি, ভারতের জঙ্গল-পাহাড়-সৈকত-গ্রাম-কলকাতায় ইচ্ছেমতো চষে বেড়ানোর সুযোগ পাওয়াতেই বেশি করে মজেছি প্রদোষ চন্দ্র মিত্রর বইগুলোতে। আমার ভ্রমণ প্রিয় হয়ে ওঠার পেছনেও তাই ফেলুদা, মায় সত্যজিতের অবদান কম-বেশি আছেই।
প্রদোষচন্দ্র মিত্র একা নয়। আরও কত চরিত্র মিলে আশ্চর্য ও এক আকর্ষণীয় রূপ প্রাপ্তি। তোপসে, অর্থাৎ তপেশরঞ্জন মিত্রর কথা বলতে হবে সবার আগে। একেবারে শুরু থেকেই যে প্রিয় গোয়েন্দার সঙ্গে আছে, তাঁর খুড়তুতো ভাইটি। তাঁর জবানিতেই ফেলুদার কাহিনিগুলো জানতে পারি। তা ছাড়া যখন ফেলুদা পড়া শুরু করি, তোপসের জায়গায় নিজেকে বসিয়ে দেওয়াটা তখন অনেক সহজ ছিল।
সোনার কেল্লায় ওই যে লালমোহন গাঙ্গুলির সঙ্গে পরিচয় হলো, তারপর থেকে ফেলুদার প্রতিটি বইয়ের আশ্চর্য এক চাটনি হয়ে উঠলেন রহস্য-রোমাঞ্চ সাহিত্যিক জটায়ু। টানটান উত্তেজনায় ভরা রহস্যকাহিনিগুলোয় জটায়ুর অদ্ভুত, হাস্যরসাত্মক কাণ্ড-কীর্তি যেন আনন্দময় রিলিফ। ফেলুদা পড়তে পড়তে আরও কত চরিত্র যে আপন হয়ে গেল আমার! দুর্ধর্ষ মগনলাল মেঘরাজ, জীবন্ত জ্ঞানকোষ সিধু জ্যাঠা, ছিন্নমস্তার অভিশাপের দুর্ধর্ষ কারাণ্ডিকার, ধাঁধাপাগল মহেশ চৌধুরী, বাদশাহী আংটির বনবিহারী বাবু, সোনার কেল্লার মুকুলসহ কত কত চরিত্র লিখতে বসে চোখের সামনে চলে আসছে। সাধারণত কোনো বই পড়তে গেলে চরিত্রগুলোর চেহারা-ছবি নিজের মতো করে তৈরি করে নিই মনে মনে। তবে এ ক্ষেত্রে সত্যজিতের আঁকায় যে সাদাকালো চেহারাগুলো পেয়েছি, সেগুলো প্রভাব বিস্তার করেছে মনের ওপর বড় বেশি।
আশ্চর্য ব্যাপার এই আধবুড়ো বয়সেও ফেলুদা আমাকে টানে। এখনো হাতের কাছে মনের মতো বই না পেলে বুকশেলফের ভেতরের নির্দিষ্ট একটি তাক চাবি দিয়ে খুলে বের করে আনি জয় বাবা ফেলুনাথ কিংবা গ্যাংটকে গণ্ডগোল। তারপর বিছানায় গা এলিয়ে দিয়ে হারিয়ে যাই প্রিয় ফেলুদার সঙ্গে।
প্রত্যেকটি শুরুরই কোনো না কোনো অনুপ্রেরণা থাকে। ফেলুদার জন্মটা যে শার্লক হোমসে অনুপ্রাণিত হয়ে বুঝে নিতে কষ্ট হয় না। সত্যজিৎ ফেলুদার গুরু হিসেবে বারবারই পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন হোমসকে। এমনকি ফেলুদাকে ঘুরিয়ে এনেছেন তাঁর গুরু হোমসের বেকার স্ট্রিট থেকে। শুধু তাই নয়, সত্যজিৎ রায় ফেলুদার আস্তানা হিসাবে ২২১ বি বেকার স্ট্রিটের অদলেই হয়তো দেখিয়েছেন দক্ষিণ কলকাতার ২১ রজনী সেন রোডকে। মজার ঘটনা ২২১ বি নামে বাড়ির কোনো অস্তিত্ত্ব যেমন নেই, তেমনি রজনী সেন রোড থাকলেও ২১ নম্বর বাড়ির খোঁজ মেলেনি সেখানে।
এবার ফেলুদা নিয়ে কিছু তথ্য দিয়ে দিচ্ছি ঝটপট। ফেলুদা চরিত্রটির জন্ম যেন অনেকটা হঠাৎ করেই হয়ে গিয়েছিল। ক্ষুরধার গোয়েন্দাটির স্রষ্টা সত্যজিৎ রায়ের একটি লাল খেরো খাতা ছিল। ওখানে নিজের গল্পগুলোর খসড়া লিখতেন। খসড়া লেখার জন্য আরও বেশ কয়েকটি খাতাও ছিল। কিন্তু কী আশ্চর্য! ১৯৬৫ সালের আগে কোথাও ফেলুদা চরিত্রটি সম্পর্কে কিছুই ছিল না। ১৯৬৫ সালে লাল খেরো খাতার তৃতীয় পাতায় হঠাৎ করেই এই গোয়েন্দার দেখা মেলে।
তারপর তো ১৯৬৫ সালে সন্দেশ পত্রিকায় ফেলুদার গোয়েন্দাগিরি দিয়ে আবির্ভাব। তবে ফেলুদার প্রথম উপন্যাস বাদশাহী আংটি, আনন্দ পাবলিশার্স থেকে বই আকারে যেটি বের হয় ১৯৬৯-এ। সত্যজিৎ সম্ভবত নিজেও ভাবেননি এভাবে বাঙালি পাঠকের মন জয় করে নেবে ফেলুদা। সিরিজটির জনপ্রিয়তা এতই তুঙ্গে ছিল যে, বাদশাহী আংটির পর থেকে ফি বছরই বলা চলে গোয়েন্দাটিকে নিয়ে উপন্যাস, না হয় গল্প; কিছু না কিছু লিখেছেন সত্যজিৎ। ১৯৯২ সালে মারা যাওয়ার আগ পর্যন্ত প্রবল জনপ্রিয় এই গোয়েন্দাকে নিয়ে সত্যজিৎ লেখেন ৩৫টি সম্পূর্ণ গল্প-উপন্যাস। এ ছাড়া শেষ হয়নি এমন কয়কেটি পাণ্ডুলিপিও ছিল।
সত্যজিৎ রায় মারা যাওয়ার কয়েক বছর পরের ঘটনা। চট্টগ্রামে বেড়াতে গিয়েছি। আবারও সেই নাহিদ ভাইয়াদের বাসা। ওর বাবা তখন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক। নিউমার্কেটে গেলাম সবাই মিলে। দুটো বই কিনলাম। এর একটা রবার্টসনের রুবি। স্পষ্ট মনে আছে, বইটি কেনার সময় বিষাদে ছেয়ে গিয়েছিল মনটা, কারণ সত্যজিৎ ততদিনে দুনিয়া ছেড়ে গিয়েছেন। আমার সঙ্গে অনেক পাঠকই একমত হবেন, বইটি ফেলুদা হিসেবে খুব আহমরি কিছু হয়নি। জানামতে ওটাই ফেলুদার পূর্ণাঙ্গ শেষ উপন্যাস। কেন এই ছন্দপতন, তা আজও আমার কাছে এক রহস্য।
রবার্টসনের রুবি কেনার সময়, কিংবা পরে একটা চিন্তা বারবারই উদয় হয়েছে মনে। আহ্, সত্যজিৎ যদি অন্তত আরও পাঁচটা বছর বাঁচতেন! গোটা আটেক ফেলুদা, দুই-তিনটা শঙ্কু কিংবা একটা তাড়ীনিখুড়োর বই নিঃসন্দেহে পেয়ে যেতাম। বড় স্বার্থপর চিন্তা! কী বলব, বলুন! সত্যজিতের এই অমর সৃষ্টিগুলো যে এখনো মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখে আমাকে।
ফেলুদাকে নিয়ে হয়ছে বেশ কয়েকটি সিনেমা, হালফিল ওয়েব সিরিজও। এ ব্যাপারে বেশি কিছু লিখতে চাই না। তবে পর্দায় ফেলুদা হিসেবে আমার প্রথম পছন্দ সব্যসাচী চক্রবর্তী। যদিও চেহারাটা শুরুতে মোটেই ফেলুদাকে যেভাবে মনে মনে কল্পনা করেছি, তার সঙ্গে যায়নি। তবে সব্যসাচীর অভিনয়ে মুগ্ধ হই।
প্রথম ফেলুদা হিসেবে দেখেছি কিন্তু সৌমিত্রকেই। ১৯৭৪ সালে, সোনার কেল্লা দিয়ে তাঁর আবির্ভাব। চেহারার কথা বললে কল্পনার ফেলুদার সঙ্গে তাঁর মিলই পেয়েছি বেশি। হবে নাই বা কেন, আমার জানামতে সত্যজিৎ ফেলুদাকে বইয়ে এঁকেছিলেন সৌমিত্রকে মাথায় রেখেই। ফেলুদা হিসেবে সৌমিত্রের অভিনয় ফেলুদার স্রষ্টার কাছে কিন্তু ছিল দশে–দশই। ওপার বাংলার পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় আমার প্রিয় অভিনেতা হয়ে ওঠার শুরু সেই তোপসে দিয়েই।
শুরুতে যে বইটার কাহিনি দিয়ে শুরু করেছিলাম, সেটার নামটা বলে দিচ্ছি, যারা জানেন না তাঁদের জন্য, বাক্স রহস্য। ফেলুদার গল্প-উপন্যাস খুব একটা পড়েননি, তাঁদের বলছি ফেলুদা সমগ্র না কিনে আলাদা আলাদা বই কিনলেই পড়ে আনন্দ পাবেন বেশি।
ফেলুদাকে নিয়ে অনেকক্ষণ বক বক করলাম। কিন্তু যে কারণে লেখা, সটোই বলা হয়নি এখনো। ফেলুদার স্রষ্টা সত্যজিৎ রায় মারা গিয়েছিলেন সেই ১৯৯২ সালে। তবে আজকের লেখার উদ্দেশ্য, তাঁর জন্মদিন স্মরণ। ১৯২১ সালের এই দিনে, মানে ২ মে পৃথিবীতে এসেছিলেন। অর্থাৎ বেঁচে থাকলে আজ তাঁর বয়স হতো ১০০। তাঁকে মনে না করে কী উপায় বলুন, তিনি পৃথিবীতে না এলে কি প্রিয় ফেলুদা আসতেন?
আরও পড়ুন: