ঈদের ছুটি শেষে আবারও রাজধানীতে ফিরছে নগরবাসী। ফেরার পথে ভোগান্তি ছাড়াই ট্রেন, বাস ও লঞ্চে ঢাকায় ফিরছে তারা। ফেরার স্রোতের পাশাপাশি দেখা গেছে রাজধানী ছাড়ার মিছিলও। আবার অনেকেই ঈদে ব্যস্ত থাকায় এখন যাচ্ছেন ছুটিতে।
আজ বুধবার রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন, সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ড এবং সদরঘাট লঞ্চঘাট ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে। যাওয়া-আসার ব্যস্ততা থাকলেও কোথাও নেই মানুষের উপচে পড়া ভিড়।
মো. মুনসুর আলী। ঢাকায় ঈদ করেছেন। আজ পাবনা যাচ্ছেন। মুনসুর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পরিবারের সবাইকে আগেই পাঠিয়ে দিয়েছি। আমার কিছু কাজ থাকায় বাড়তি দুই দিন ঢাকায় ছিলাম।’
ঢাকায় পরিবারের সঙ্গে ঈদ কাটিয়ে সুবর্ণ এক্সপ্রেসে করে চট্টগ্রাম যাচ্ছেন সাহিল রহমান শুভ। অনলাইনে অগ্রিম টিকিটের ফলে ভোগান্তি অনেকটাই কমেছে বলে জানান তিনি। শুভ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এবার এসেছিও নিশ্চিন্তে, যাচ্ছিও নিশ্চিন্তে। প্রতিবার আসা-যাওয়ার সময় অনেক হুড়োহুড়ি হয়। এবার তেমন কিছুই নেই।’
কমলাপুর রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার মো. আফছার উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজ ৫৪ জোড়া ট্রেন চলাচল করছে। ঈদ উপলক্ষে দুটি স্পেশাল ট্রেন চলছে। বেলা দুইটা পর্যন্ত ঢাকায় ফিরেছে ২২ ট্রেন এবং ১২টি ট্রেন ছেড়ে গেছে।’
ট্রেনে রাজধানী ফেরা মানুষের কিছুটা ভিড় থাকলেও বাসে তেমন ভিড় নেই। তবে এখানে ফেরার পাশাপাশি ঢাকা ছাড়ার মানুষের কোলাহল দেখা গেছে। তিশা প্লাসে করে কুমিল্লাগামী আবদুল আলীম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঈদে ছুটি পাইনি। পরিবারের সঙ্গে ঢাকায়ই ঈদ করেছি। এখন ছুটি পেয়ে পরিবার নিয়ে কুমিল্লায় শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছি।’
এদিকে সকালে দক্ষিণাঞ্চলের লঞ্চগুলো ঘাটে পৌঁছানোর পর কিছুটা ভিড় থাকলেও দুপুরের পর থেকে অনেকটাই স্বাভাবিক সদরঘাট। এমভি পূবালী-১-এ করে বরগুনা থেকে আসা আসির উদ্দিন জানিয়েছেন, কিছুটা ভিড় থাকলেও সময়মতোই ফিরতে পেরেছেন।
ঢাকা নদীবন্দরের নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম পরিচালক (বন্দর) মো. কবীর হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজকে তেমন ভিড় নেই। সকালে কিছুটা ভিড় ছিল, তবে ঈদের সময় এটা স্বাভাবিক। আজ বেলা দুইটা পর্যন্ত ৭০টি লঞ্চ ঘাটে এসেছে। ছেড়ে গেছে ৩৪টি।’