রাষ্ট্র থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবার যেসব সুবিধা ভোগ করেছে, সে বিষয়ে জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে এসব সুবিধা দিতে রাষ্ট্রের কত খরচ হয়েছে, তা নিরূপণ করে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটির (এইসআরএসএস) সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মাদ মনিরুজ্জামানের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ রোববার রুলসহ এই আদেশ দেওয়া হয়।
বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মুহম্মদ মাহবুব–উল ইসলামের বেঞ্চে রিটটির শুনানি হয়। আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার চৌধুরী ইশরাক আহমেদ সিদ্দিকী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রেদওয়ান আহমেদ রানজিব। তিনি আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ ছাড়া জাতির পিতার পরিবারের সদস্যরা রাষ্ট্রের যে বিশেষ সুবিধা ভোগ করেছেন এবং যেসব সম্পত্তি বিশেষ সুবিধায় পেয়েছেন তা পুনরুদ্ধার করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
আইনসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, অর্থসচিব, বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনীর মহাপরিচালক ও বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
শুনানিতে ব্যারিস্টার চৌধুরী ইশরাক আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, বাংলাদেশ ছাড়া পৃথিবীর কোথাও এ রকম আইন নেই। এটি বাংলাদেশ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৭ এবং ৩১ এর স্পষ্ট লঙ্ঘন। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ছাত্র–জনতা যে আন্দোলন করেছিল, তা ছিল বৈষম্য দূর করার জন্য। যেহেতু এটি একটি বৈষম্য, তাই এই বৈষম্য বাতিল করতে রিটটি করা হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবার–সদস্যরা ইতিমধ্যে যে সুবিধা ভোগ করেছেন এবং যেসব সম্পত্তি বিশেষ সুবিধায় পেয়েছেন, তা ফেরত নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে গত ২৫ আগস্ট রিটটি করা হয়। তাঁরা যেসব সুবিধা ভোগ করেছেন, তার জন্য রাষ্ট্রের খরচ নিরূপণ এবং যেসব সম্পত্তি বিশেষ সুবিধায় পেয়েছেন তার প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা চাওয়া হয়।