অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচার মামলায় বরখাস্ত পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানসহ চারজনের সাজা কেন বৃদ্ধি করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। তাঁদের সাজা বৃদ্ধি চেয়ে দুদকের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।
দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, ‘এই মামলায় গত বছরের ২১ জুন তাদের সাজা হয়। এর বিরুদ্ধে মিজানুর রহমানের করা আপিল চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি খারিজ হয়। আমরা সাজা বাড়াতে আবেদন করেছিলাম। আদালত রুল জারি করেছেন।’
২০১৯ সালের ২৪ জুন দুদক ডিআইজি মিজানসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় তাঁদের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং তিন কোটি সাত লাখ পাঁচ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়। গত বছরের ২১ জুন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত মিজানুর রহমান, তাঁর স্ত্রী সোহেলিয়া আনার ওরফে রত্না রহমান, ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগনে মাহমুদুল হাসানকে দণ্ড দেন।
মিজানুর রহমানকে দুদক আইনের ২৬ (২) ধারায় তিন বছর, ২৭ (১) ধারায় ছয় বছর এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে সব সাজা একত্রে চলবে বলে তাঁকে ছয় বছর সাজা ভোগ করতে হবে। অপর দিকে বাকি তিনজনকে ২৭ (১) ধারায় তিন বছর ও মানি লন্ডারিং আইনে চার বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। তাঁদেরও চার বছর সাজা ভোগ করতে হবে।