Ajker Patrika
হোম > জাতীয়

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ৮ জনের ব্যাংক লেনদেনের তথ্য চেয়ে দুদকের চিঠি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ৮ জনের ব্যাংক লেনদেনের তথ্য চেয়ে দুদকের চিঠি

ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ ৮ জনের নগদ অর্থের তথ্য চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে (বিএফআইইউ) চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আজ বুধবার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এই চিঠি পাঠানো হয়। দুদকের ঊর্ধ্বতন সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। 

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও যাদের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চাওয়া হয়েছে তারা হলেন- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ছেলে সাফি মোদাচ্ছের, মন্ত্রীর সাবেক পিএস অতিরিক্ত সচিব হারুন অর রশীদ, পুলিশের সাবেক ডিআইজি মোল্ল্যা নজরুল, যুগ্ম সচিব ধনঞ্জয় কুমার দাস, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোল্লা ইব্রাহিম হোসেন, সহকারী একান্ত সচিব মনির হোসেন ও জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ অপু। 
 
দুদক সূত্রে জানা যায়, আসাদুজ্জামান খানের নেতৃত্বে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোয় তিনি ও তার লোকেরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিয়োগ, পদায়ন ও বদলি-বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করতেন।

অভিযোগ থেকে আরও জানা যায়, এই সিন্ডিকেট বিশেষ করে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসে নিয়োগ দিতেন। আসাদুজ্জামান খান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই ঘুষ হিসেবে বস্তা বস্তা টাকা নিতেন। পুলিশ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও ফায়ার সার্ভিস থেকে এই টাকা আদায় করা হতো। 

তৎকালীন অতিরিক্ত সচিব ড. হারুন অর রশীদ বিশ্বাসের নেতৃত্বে সিন্ডিকেট গড়ে তোলা হয়।

দুদক সূত্রে জানায়, ২০২২ সালের ৩০ জুন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পান ডিআইজি মোল্ল্যা নজরুল ইসলাম। ৫ কোটি টাকার বিনিময়ে মোল্ল্যা নজরুলকে গাজীপুরের কমিশনার হিসেবে পদায়ন করা হয়। 

এর মাসখানেক আগে হারুন অর রশীদ বিশ্বাসের কাছে ৫ কোটি টাকার একটি চেক দেন মোল্ল্যা নজরুল। পরবর্তী সময়ে গাজীপুরের কমিশনার হিসেবে নিয়োগের পর হোটেল ওয়েস্টিনে হারুন অর রশীদের কাছে নগদ ২ কোটি টাকা দেন তিনি। 

এ সময় পূর্বের চেকটি ফেরত নিয়ে মোল্ল্যা নজরুল ৩ কোটি টাকার একটি চেক দেন।

দুদক সূত্র আরও জানায়, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সে কোনো সার্কুলার হলেই মন্ত্রীর দপ্তর থেকে একটি তালিকা পাঠানো হতো। সেই মোতাবেক নিয়োগ দিতে ফায়ার সার্ভিসকে বাধ্য করতেন সাবেক এই মন্ত্রী। এ ক্ষেত্রে তিনি মোটা অঙ্কের ঘুষ নিতেন।

প্রসঙ্গত, নিয়োগ বাণিজ্য ও দুর্নীতির অভিযোগে গত ১৫ আগষ্ট সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। সংস্থাটির উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়।

শুরুতেই এমপিওভুক্ত হচ্ছে দেড় হাজার ইবতেদায়ি মাদ্রাসা

ভোট কমিটির নেতৃত্বে ডিসি ইউএনওকে না রাখার চিন্তা

তাপমাত্রা বাড়লে রমজানে স্বস্তি থাকবে না বিদ্যুতে

ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে মহাসড়কে প্রস্তুতি

বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন ভারত

১০ লাখ রোহিঙ্গা খাদ্যসংকটে, জরুরি তহবিল বরাদ্দের তাগিদ ডব্লিউএফপির

মাতৃত্বকালীন ছুটিতে বৈষম্য না রাখার আহ্বান নারীনেত্রীদের

নারীর এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাসটা অতীব জরুরি: ফরিদা আখতার

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের প্ল্যান্টেশন কর্মী প্রবেশের সময়সীমা ৩১ মার্চ

ঐতিহাসিক ৭ মার্চ আজ