বাংলাদেশ থেকে আম আমদানির আগ্রহ জানিয়েছে রাশিয়া। কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে দেখা করে ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার ভি মান্টিটস্কি এই আগ্রহের কথা জানান।
নিজের দপ্তরে বুধবার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকের পর কৃষিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত মনে করেন রাশিয়ায় আম রপ্তানির একটা বিরাট সুযোগ আছে। তিনি নতুন এসেছেন, এই কয়দিনে যে আম খেয়েছেন তা খুবই সুস্বাদু বলে তিনি জানিয়েছেন। রাষ্ট্রদূত বলেছেন, রাশিয়ায় আমের বিরাট মার্কেট। বাংলাদেশ এটায় গুরুত্ব দিতে পারে, এটা নিয়ে কাজ করা উচিত।
রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের এখন দুই বিলিয়ন ডলারেরও বেশি দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য রয়েছে জানিয় কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষি ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের জন্য রাশিয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা তেমন গম উৎপাদন করি না। আমাদের আবহাওয়া গম উৎপাদনের জন্য ভালো না। আমাদের জেনারেশনের ছেলে-মেয়েরা গমের অনেক খাবার খায়। এ জন্য আমরা রাশিয়া থেকে আমরা গম আমদানি করি।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, আগে আমরা রাশিয়ায় আলু রপ্তানি করতাম। একটা ব্যাকটেরিয়ার কারণে রাশিয়া সেখানে রেস্ট্রিকশন দিয়েছে। রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ করেছি আমরা যাতে রাশিয়ায় আলু রপ্তানি করতে পারি। তিনি বলছেন, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখবেন।
রাজ্জাক বলেন, বাংলাদেশে অনেক বেশি ব্যবহৃত ডিএপিপি সার রাশিয়া থেকে আমদানি নিয়ে আলাপ করেছি। এ জন্য রাশিয়ার সঙ্গে জিটুজি ভিত্তিতে একটা সমঝোতা স্মারকও স্বাক্ষরিত হবে। আগে আমরা ৭ লাখ টন ডিএপিপি ব্যবহার করতাম, এখন সেটার চাহিদা বেড়ে ১৪ লাখ টন হয়েছে।
‘রূপপুর প্রকল্প তারা করছে। তারা মনে করে এই প্রকল্প বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিরাট প্রভাবে পড়বে। আন্তর্জাতিক পর্যায়েও বাংলাদেশের মর্যাদা অনেক বাড়বে। রোহিঙ্গা নিয়েও রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তারা চায় এই সমস্যার সমাধান হোক। এই ব্যাপারেও তারা সহযোগিতা করবে।’