প্রকাশ্যে ভোট দেওয়ার অভিযোগে ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হককে ডেকেছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। শুনানিতে দেওয়া লিখিত বক্তব্য ও ব্যাখ্যা গ্রহণযোগ্য হওয়ায় ইসি তাঁকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে।
আজ সোমবার ইসির উপসচিব এম মাজহারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত চিঠিতে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে ১৫ জানুয়ারি ইসির শুনানি শেষে ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার, আমি আইনের ঊর্ধ্বে নই। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। অতএব, বিধান অনুসারে, আমাদের নির্বাচন কমিশন থেকে তাঁরা আমাকে উপস্থিত হওয়ার জন্য বলেছেন। আমি উপস্থিত হয়েছি এবং আমি আমার কথা বলেছি ওনাদের কাছে। আমার যতটুকু বিশ্বাস, মেজর কোনো অপরাধ যদিও নেই, এরপরেও আমি বলেছি, আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। অতএব, ক্ষমাশীল দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রেখে আমি আমার কথা শেষ করে চলে এসেছি।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘কমিশন বলল যে আমরা দেখব বিষয়টা। এটা তাদের বিষয়। আমি তো বলতে পারি না যে আমাকে রেজাল্ট দেন।’
ভালো নির্বাচন হয়েছে, সব জায়গায় প্রশংসা হয়েছে, আপনার এই কর্মকাণ্ডের জন্য আওয়ামী লীগ বিব্রত কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘না, আওয়ামী লীগ বিব্রত না। আওয়ামী লীগ বিব্রত না, কেউ বিব্রত না।’
প্রকাশ্যে ভোট দেওয়া কি আপনার অপরাধ ছিল? এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘যতটুকু বলার আমি বলেছি আপনাদের। এর চাইতে বেশি কিছু বলার কোনো সুযোগ নাই এখানে।’
১১ জানুয়ারি ধর্মমন্ত্রীকে ইসিতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে চিঠি ইস্যু করেছিল কমিশন।
চিঠিতে বলা হয়, ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদে সাধারণ নির্বাচনের ভোট গ্রহণের দিন ফরিদুল হক জামালপুর-২ আসনের ইসলামপুর উপজেলার পলবান্ধা ইউনিয়নের সিরাজাবাদ উচ্চবিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে প্রকাশ্যে ভোট দেন। বিভিন্ন গণমাধ্যমে ছবিসহ প্রতিবেদন আকারে সেই খবর প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশ্যে ভোট প্রদান করে ভোটের গোপনীয়তা রক্ষা না করা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর ৮৩ অনুচ্ছেদের বিধান অনুসারে শাস্তিযোগ্য নির্বাচনী অপরাধ।