রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশ বছরে বিলিয়ন ডলার খরচ করছে। তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় থেকে প্রত্যাশিত সহযোগিতা মিলছে না। রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের সঙ্গে যেকোনো আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক আলোচনার জন্য বাংলাদেশের দ্বার সব সময় উন্মুক্ত।
আজ শনিবার রাজধানীতে বাংলাদেশ ও ইন্দো-প্যাসিফিক সহযোগিতা: অগ্রাধিকারমূলক সমস্যা ও উদ্বেগের ওপর আয়োজিত এক সংলাপে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এসব কথা বলেন।
শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘সরকার রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানের জন্য দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক ও বহুপক্ষীয় প্রচেষ্টার সমন্বয় করেছে। সরকারের অব্যাহত কূটনৈতিক প্রচেষ্টা রোহিঙ্গা ইস্যুকে বাঁচিয়ে রাখতে সাহায্য করেছে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল নিয়ে বড় দেশগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা রয়েছে। তাই জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে চলবে বাংলাদেশ।’
ইন্দো-প্যাসিফিক বিজনেস ফোরামে ঢাকা যুক্ত হবে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সেই সিদ্ধান্ত এখনো চূড়ান্ত হয়নি। নীতিগতভাবে উন্মুক্ত ও শান্তিপূর্ণ ইন্দো-প্যাসিফিক চায় বাংলাদেশ। এ নিয়ে নিজস্ব কর্মকৌশল প্রণয়ন করছে ঢাকা। তবে এখনই ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেমওয়ার্কের (আইপিইএফ) মতো কোনো মুক্ত বাণিজ্য ফোরামে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্তে আসেনি বাংলাদেশ।’
বাংলাদেশ সেন্টার ফর ইন্দো-প্যাসিফিক অ্যাফেয়ার্স এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ডিপার্টমেন্ট অব ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস আয়োজিত সংলাপটি পরিচালনা করেন বাংলাদেশ সেন্টার ফর ইন্দো-প্যাসিফিক অ্যাফেয়ার্সের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক শাহাব এনাম খান।
বক্তব্য দেন সেক্রেটারি, মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিট (এমএইউ) রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হুসাইন এবং বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গুয়েন লুইস প্রমুখ।