বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক বহুমুখী। এই সম্পর্কে কেউ ফাটল ধরাতে পারবে না। বরং যোগাযোগের নতুন নতুন ক্ষেত্র উন্মোচনের মাধ্যমে উভয় দেশ নিজেদের সম্পর্ককে আরও উন্নত করবে। উভয় দেশের বিশেষজ্ঞরা একমত।
ভারতের হিমাচল প্রদেশের সিমলায় অনুষ্ঠিত হয় ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ১০ম রাউন্ড ফ্রেন্ডশিপ ডায়লগ। বৃহস্পতিবার থেকে রোববার পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এ মৈত্রী সংলাপে গুরুত্ব পায় যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন।
মৈত্রী সংলাপের আয়োজন করে ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন ও বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ফর রিজিওনাল স্টাডিজ। সংলাপে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, সংযোগ, প্রযুক্তি, জ্বালানি, আঞ্চলিক নিরাপত্তা, জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি প্রভৃতি গুরুত্ব পায়।
সংলাপে ভারতীয়দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জয় রাম ঠাকুর, ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী রাজকুমার রঞ্জন সিং, গভর্নিং কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের সদস্য রাম মাধব প্রমুখ।
আর বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে ছিলেন—পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ কো-অডিনিং চ্যাপ্টারের প্রধান সমন্বয়ক এএসএম শামছুল আরেফিন, অসীম কুমার উকিল এমপি, মির্জা আজম এমপি, পংকজ নাথ এমপি, ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ ইমরান প্রমুখ।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথে আমাদের হাঁটতে হবে। সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বিদ্বেষ নয়। বঙ্গবন্ধুর নীতির দ্বারা পরিচালিত, বাংলাদেশ শান্তি ও স্থিতিশীলতায় বিশ্বাস করে।’
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম এ অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকারের অটল অঙ্গীকারের ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, ‘একে অপরের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও গণতান্ত্রিক রীতিনীতি ও মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধার ভিত্তিতে সম্পর্ক স্থাপন করা হয়েছিল।’