বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতার মধ্যে সাংবাদিক ও শিশু-কিশোরদের ওপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ‘মাত্রাতিরিক্ত বলপ্রয়োগ ও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার’ করেছে বলে নিন্দা জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
গত ১৮ জুলাই থেকে শুরু হওয়া টানা কয়েকদিনের সহিংসতায় অন্তত ২০৬ জন নিহত হয়েছেন এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এসব সহিংসতার ঘটনার যথাযথ ও পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত দাবি করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতির প্রধান জোসেপ বোরেল।
বিবৃতিতে বোরেল বলেন, গত ২৭ জুলাই লাওসে আসিয়ান আঞ্চলিক ফোরামের মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে চলাকালে বাংলাদেশের প্রতিনিধি ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনের কাছে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
বোরেল বলেন, ‘সাম্প্রতিক দিনগুলোতে বাংলাদেশ সরকারের ‘দেখামাত্র গুলির ঘোষণা’ এবং অবৈধ হত্যাকাণ্ডের ঘটনাগুলোতে আমি আমার গভীর উদ্বেগ তুলে ধরেছি।’
তিনি আরো বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্বারা সংঘটিত হত্যাকাণ্ড, সহিংসতা, নির্যাতন, গণগ্রেপ্তার ও সম্পদের যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা নিয়েও আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’
এসব ঘটনার পরিপূর্ণ তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনারও আহ্বান জানান বোরেল।
তিনি আরো বলেন, ‘সাংবাদিক ও শিশু-কিশোরসহ বিক্ষোভকারী ও অন্যদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাত্রাতিরিক্ত বলপ্রয়োগ ও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের অসংখ্য ঘটনার জন্য সম্পূর্ণ জবাবদিহি থাকতে হবে। গ্রেপ্তার হাজার হাজার মানুষের বিচারে সঠিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে।’
এ বিষয়ে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপগুলো ঘনিষ্ঠভাবে অনুসরণ করা হবে বলেও জানান ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতির প্রধান। পাশাপাশি ইইউ-বাংলাদেশ সম্পর্কের মৌলিক বিষয়গুলো মাথায় রেখে সব ধরনের মানবাধিকারকে সম্পূর্ণভাবে সম্মান করা হবে বলে তিনি আশাপ্রকাশ করেন।