চলমান কঠোরতম বিধিনিষেধের মধ্যে গার্মেন্টসহ রপ্তানিমুখী শিল্প–কারখানা খুলে দিয়েছে সরকার। আজ রোববার থেকে কারখানা চালু হওয়ায় সারা দেশ থেকে অবর্ণনীয় ভোগান্তি নিয়ে কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ। কারখানা শ্রমিকদের সুবিধার্থে সীমিত সময়ের জন্য গণপরিবহন খুলে দেওয়া হলেও যথেষ্ট নয়। গত শুক্রবার থেকেই মহাসড়কগুলোতে ট্রাক, পিকআপ ভ্যানে চেপে শ্রমিকদের গাদাগাদি করে ফিরতে দেখা যাচ্ছে। বলাবাহুল্য তাতে স্বাস্থ্যবিধির কোনো বালাই থাকছে না।
এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেছেন, এই করোনা মহামারির মধ্যে যেভাবে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে শ্রমিকেরা ঢাকামুখী হচ্ছেন, তাতে সংক্রমণ আরও বাড়বে।
আজ রোববার দুপুরে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএস) মিলনায়তনে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের ক্লাস উদ্বোধনকালে এ উদ্বেগের কথা বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, মহামারি করোনায় মারা যাওয়াদের ৮০ থেকে ৯০ শতাংশই বয়স্ক। দেশের অল্পবয়সী থেকে শুরু করে বয়স্করা আক্রান্ত হচ্ছে। করোনা এখনো ঊর্ধ্বমুখী। বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে।
আগামী ৭ আগস্ট থেকে উপজেলা পর্যায়ে টিকা দেওয়া হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এনআইডি না থাকলেও বয়স্করা টিকা পাবেন। গর্ভবতীদেরও টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। দেশে টিকা দান কর্মসূচির যে সক্ষমতা তাতে সপ্তাহে এক কোটি টিকা দেওয়া সম্ভব হবে।