বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ এর দুটি ধারা নিয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আইনটির ৬ (২) ধারা ও ৯ ধারা কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
এ সংক্রান্ত রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের বেঞ্চ রুল জারি করেন।
আইন সচিব, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ তেল গ্যাস ও খনিজসম্পদ করপোরেশনের (পেট্রোবাংলা) চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
পরিকল্পনা বা প্রস্তাবের প্রচার সম্পর্কিত ৬ (২) ধারায় বলা হয়েছে– উপ-ধারা (১) এ যা কিছুই থাকুক না কেন, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রীর সম্মতি গ্রহণক্রমে যে কোনো ক্রয়, বিনিয়োগ পরিকল্পনা বা প্রস্তাব ধারা ৫ এ বর্ণিত প্রক্রিয়াকরণ কমিটি সীমিত সংখ্যক অথবা একক কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ ও দরকষাকষির মাধ্যমে উক্ত কাজের জন্য মনোনীত করে ধারা ৭ এ বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণে অর্থনৈতিক বিষয় বা সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে প্রেরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
এ ছাড়া আদালত, ইত্যাদির এখতিয়ার রহিতকরণ সম্পর্কিত ধারা ৯–এ বলা হয়েছে–এই আইনের অধীন কৃত, বা কৃত বলিয়া বিবেচিত কোনো কার্য, গৃহীত কোনো ব্যবস্থা, প্রদত্ত কোনো আদেশ বা নির্দেশের বৈধতা সম্পর্কে কোনো আদালতের নিকট প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবে না।
এর আগে গত ২৭ আগস্ট আইনটির ৬(২) ও ৯ ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিটটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শাহদীন মালিক ও তায়্যেব-উল-ইসলাম সৌরভ। রিটের পক্ষে শুনানি করেন শাহদীন মালিক।
আদেশের শাহদীন মালিক বলেন, সরকারের সব ক্রয় একটি প্রক্রিয়া তথা টেন্ডারের মধ্য দিয়ে হয়। কিন্তু এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো মন্ত্রী একক বিবেচনায় যাকে ইচ্ছা তাকে, যত টাকা ইচ্ছা তত টাকায় দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
কোনো সভ্য রাষ্ট্রে মন্ত্রীর এরকম একক ক্ষমতা থাকতে পারে না। আদালতের এখতিয়ার রদ করতে পারে এমন কোনো আইন হতে পারে না। আদালত চার সপ্তাহের জন্য রুল দিয়েছেন।