পাঁচ সংস্কার কমিশনের ১২১টি সুপারিশের বিষয়ে অতি জরুরি ভিত্তিতে ‘আশু বাস্তবায়নযোগ্য’ প্রস্তাব চেয়ে ইসি সচিবালয়সহ এক ডজন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও প্রতিষ্ঠানে চিঠি দিয়েছিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এর মধ্যে নির্বাচন কমিশন সংক্রান্ত ৯টি বিষয় রয়েছে। এ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানিয়েছেন, সংস্কার সুপারিশের বিষয়ে আশু বাস্তবায়নযোগ্য প্রস্তাবগুলো স্বল্পতম সময়ে সরকারের কাছে পাঠানো হবে।
আজ মঙ্গলবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
ইসি সচিব আরও বলেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে মতামত দেওয়া হবে। ৯টি বিষয় নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনাররা আলোচনা করছেন।
তিনি জানান, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ৯টা বিষয়ের সুপারিশের ওপর আমাদের মতামত চাওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে— গণপ্রতিনিধিত্ব আইন বা আরপিও সংশোধন, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় আইন সংশোধন, নির্বাচন কর্মকর্তা বিধান আইন সংশোধন, নির্বাচন পর্যবেক্ষণ ও গণমাধ্যম নীতিমালা, রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, হলফনামার খসড়া, ভোটার তালিকাকরণ অভ্যন্তরীণ ও প্রবাসী, পোস্টাল ব্যালট, রাজনৈতিক ও নির্বাচনী অর্থায়নে স্বচ্ছতা এবং শুদ্ধাচার চর্চা নিশ্চিতকরণ।
যত দ্রুত সম্ভব এসব বিষয়ের ওপর মতামত পেশ করা হবে উল্লেখ করে সচিব বলেন, ‘অল্প সময়ের মধ্যে এসব সংস্কারের কথা বলা হয়েছে। আমাদের দিক থেকে বিষয়টা স্বল্পতম সময়ের মধ্যে করার চেষ্টা করছি। যাতে করে আমরা এটাকে সুষ্ঠু সমাধানের দিকে নিয়ে যেতে পারি। তবে এই মুহূর্তে কী কী সুপারিশ করা হবে, সে বিষয়ে কিছু বলতে পারব না। মাননীয় কমিশন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।’
সুপারিশের বাস্তবায়ন করতে গিয়ে নির্বাচনে প্রভাব পড়বে না বলেও মন্তব্য করে সচিব বলেন, নির্বাচনে প্রভাব পড়বে কি না তা নির্ভর করছে অনেকগুলো প্রস্তাবের ওপর। তবে আমাদের দিক থেকে তাগিদটা হচ্ছে, যেকোনো বিষয় আসলে তাড়াতাড়ি নিষ্পত্তি করে দেওয়া। যাতে করে ডিসেম্বরের নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া যায়। মূলত ডিসেম্বরকে সামনে রেখেই আমরা সব কাজ শেষ করব।