নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের চার কর্মকর্তার দোষী সাব্যস্তকরণ ও সাজার রায় স্থগিত করে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের দেওয়া আদেশ বাতিল করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালত বলেছেন, আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত চারজনের বিরুদ্ধে দেওয়া কনভিকশন (দোষী সাব্যস্তকরণ) কার্যকর থাকবে। একই সঙ্গে সাজা ও শ্রম আদালতের দেওয়া জরিমানা স্থগিত থাকবে। তবে দেশের বাইরে গেলে তাদেরকে সংশ্লিষ্ট আদালতকে জানাতে হবে।
শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের করা মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. ইউনূসসহ চারজনকে গত ১ জানুয়ারি ছয় মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছিলেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত। এ ছাড়া প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে তা ৩ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত করে চারজনকে জামিন দেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। অপর তিনজন হলেন গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুর জাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।
এদিকে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের আদেশের অংশবিশেষের বৈধতা নিয়ে গত ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে ক্রিমিনাল রিভিশন করে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর। তাতে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। ওই রুল নিষ্পত্তি করে সোমবার রায় দেওয়া হয়। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন মো. খুরশীদ আলম খান। ড. ইউনূসের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ।