জমি কেনাবেচায় পাওয়ার অব অ্যাটর্নি করার ক্ষমতা বন্ধ করে দিতে যাচ্ছে সরকার। প্রবাসীরা দূতাবাসের মাধ্যমে আবেদন করলে শুধু তাদের এটা দেওয়া হবে বলে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জানিয়েছেন।
রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের শেষ দিন আজ বৃহস্পতিবার ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধিবেশন শেষে ভূমিমন্ত্রী সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।
ভূমিমন্ত্রী বলেন, ‘পাওয়ার অব অ্যাটর্নি নিয়ে অনেক সমস্যা হচ্ছে। এই পাওয়ার অব অ্যাটর্নির মিসইউজ করা হচ্ছে। আমি স্ট্রেট বলে দিয়েছি, যারা প্রবাসে থাকে, তাদের অ্যাম্বাসির মাধ্যমে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি এলিজেবল। যারা দেশে আছে তারা নো মোর পাওয়ার অ্যাটর্নি। এটা আমরা একেবারে বন্ধ করে দেব। কারণ, যতই জায়গার দাম বাড়ছে লোভ-লালসাও বাড়ছে।’
ভূমির নামজারি ডিজিটালাইজড করার বিষয়ে সরকার শতভাগের কাছাকাছি সফলতা পেয়েছে বলে জানান ভূমিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা ডিজিটালাইজেশনে অনেকটা সাকসেসফুল হয়েছি। আমি বলতে পারি, নামজারি শতভাগ না হলেও শতভাগের কাছাকাছি আমরা অনলাইনে চলে গিয়েছি।’
মন্ত্রী বলেন ‘আমরা একটি কাটঅফ টাইম দিয়েছিলাম ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে আর কোনো মিউটেশন হবে না। আমরা এটাতে সাকসেসফুল। এলডি ট্যাক্স আমরা অনলাইনেও শুরু করেছি, পাশাপাশি ম্যানুয়ালিও চালাচ্ছি। কারণ, আমাদের অনেক ডেটা এখনো এন্ট্রি হয়নি। সব ডেটা যখন এন্ট্রি হয়ে যাবে সেখানেও আমরা কাটঅফ টাইম করে ফেলব যে, আজ থেকে ম্যানুয়ালি কোনো ভূমি উন্নয়ন ট্যাক্স নেওয়া হবে না। ভূমি উন্নয়ন কর নেওয়া নিয়েও কিন্তু মাঠপর্যায়ে অনেক হয়রানি আছে। আমরা এটাকে আশা করি, এ বছরের মধ্যে যদি ডেটা এন্ট্রি শেষ হয়ে যায় তাহলে আমরা এ বছরের শেষের দিকে ম্যানুয়ালি এলডি ট্যাক্স সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেব।’
বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভেই সবশেষ সার্ভে হবে জানিয়ে ভূমিমন্ত্রী বলেন, ‘বিডিএস হবে সবশেষ সার্ভে। বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে। বরগুনা, পটুয়াখালীতে যেহেতু এখনো শুরু হয়নি, সেখানে আমরা শুরু করব। এটা পাইলট হিসেবে আমরা নিচ্ছি। ড্রোনের মাধ্যমে, স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইমেজ নিয়ে আমরা করব। এটাতে সাকসেসফুল হলে আমরা রেপ্লিকা করব সারা দেশে।
জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্পর্কিত আরও পড়ুন: