শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) রাতে রাজধানীর গোপীবাগে পুড়ে যাওয়া বেনাপোল এক্সপ্রেসসহ বিভিন্ন রুটের আটটি ট্রেন চলাচল দুই দিন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার তাঁর ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন।
পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘সম্মানিত যাত্রী সাধারণের সদয় অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, অনিবার্য কারণবশত আগামী ৬ জানুয়ারি এবং ৭ জানুয়ারি বেনাপোল এক্সপ্রেস ও ঢালারচর এক্সপ্রেস বন্ধ থাকবে। সেই সঙ্গে মহানন্দা (আপ/ডাউন), রকেট (আপ/গাউন), পদ্মরাগ (২১ / ২২), রংপুর শাটল (৯৭ / ৯৮), ঢাকা কমিউটার (৯৯), রাজশাহী কমিউটার (৫ /৬) ও বগুড়া কমিউটার (৫ /৬) আগামী ৬ ও ৭ জানুয়ারি বন্ধ থাকবে।’
এ ছাড়া চিলমারী কমিউটার এবং লোকাল (৪৬২ / ৪৫৫ / ৪৫৬ / ৪৬১) ৬ জানুয়ারি (আংশিক) ও ৭ জানুয়ারি পুরোপুরি বন্ধ থাকবে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ২২ ডিসেম্বর রাজনৈতিক অস্থিরতা ও হরতাল–অবরোধে নাশকতা এড়াতে ৫ জোড়া ট্রেনের চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তখন বলা হয়েছিল, রাত্রিকালীন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ মনে করায় এসব ট্রেন বন্ধ করা হয়েছে। বন্ধ করা ট্রেনগুলো ছিল—ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ থেকে ভূঞাপুর, জামালপুর থেকে সরিষাবাড়ী, উত্তরা এক্সপ্রেস ও ঈশ্বরদী থেকে রহনপুরগামী লোকাল ট্রেন। এসব ট্রেন এখনো চালু হয়নি।
রেলওয়ে সূত্র বলছে, গত দুই মাসে রেলপথের ১২টি স্থানে এবং ৫টি ট্রেনে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ছাড়া ৩টি স্থানে রেললাইন কাটা এবং ফিশপ্লেটের ক্লিপ খুলে নেওয়া হয়েছে। রেলওয়ে পুলিশের ৬টি অঞ্চলের মধ্যে নাশকতার ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঢাকা অঞ্চলে।