‘শিক্ষা ছাড়া কোনো এলাকা উন্নত হতে পারে না, তাই আপনারা আপনাদের সন্তানদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে সৎ নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলুন। আমি হাওরের মানুষ, সারা জীবন আমি হাওর নিয়ে চিন্তা করেছি। আমার স্বপ্ন অনেক ছিল আজ এর আংশিক স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। হাওরে রাস্তা ঘাট হয়েছে। যারা এক সময় হাওরকে অবহেলা করত তারা দল বেঁধে হাওর ঘুরতে আসছে।’
গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলা সফরে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের পাশাপাশি এর রক্ষণাবেক্ষণ ও সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। হাওরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রক্ষা, পর্যটকেরা যেন যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা না ফেলে, সে বিষয়ে সকলকে সজাগ থাকতে হবে।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ দেশ ও জাতির কল্যাণে জনপ্রতিনিধিদের আরও বেশি কাজ করার আহ্বান করে বলেন, জনপ্রিয়তা হারানোর ভয়ে মন্দ কোনো কাজে বাঁধা না দিলে তাতে জনপ্রিয়তা বাড়ে না, বরং কমে। হাওরে পর্যটকের সংখ্যা যত বাড়বে ততই হাওরের উন্নয়ন হবে। তাই পর্যটকদের সুবিধার্থে হাওরে হোটেল ও রিসোর্ট সেন্টার গড়ে তুলতে বিত্তশালীদের প্রতি আহ্বান জানাই।
এ সময় মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতির বড় ছেলে স্থানীয় সাংসদ প্রকৌশলী রেজওয়ান আহম্মেদ তৌফিক, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. জিল্লুর রহমান, পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ বিপিএম (বার), অষ্টগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম জেমস্, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ফজলুল হক হায়দারী বাচ্চুসহ প্রমুখ।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ৭ দিনের সফরে এখন কিশোরগঞ্জ রয়েছেন। সফরের দ্বিতীয় দিন শনিবার সন্ধ্যায় মতবিনিময় সভার আগে ভাটির রানি অষ্টগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়নকাজ পরিদর্শন করেন তিনি।