ফসলের জমিতে সুষম সার প্রয়োগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা ইউরিয়া সারের বর্তমান ব্যবহার কমপক্ষে ২০ শতাংশ কমিয়ে যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে চাই। এতে ফসল উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না, বরং আরও বাড়বে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ডা. আব্দুর রাজ্জাক।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশ সচিবালয় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী ডা. আব্দুর রাজ্জাক।
মন্ত্রী বলেন, ইউরিয়ার ব্যবহার কমাতে হলে আমাদের কৃষক ভাইসহ সবার সচেতনতা প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে গণমাধ্যম বিরাট ভূমিকা পালন করতে পারে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ৭ লাখ ২৭ হাজার টন ইউরিয়া সার মজুত আছে। জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চাহিদা রয়েছে ৬ লাখ ১৯ হাজার মেট্রিক টন।
মন্ত্রী জানান, ইউরিয়া সারের দাম কেজিতে ছয় টাকা বাড়লেও কেউ যেন কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে না পারে, সে বিষয়ে তদারক করছে সরকার। কৃত্রিম সংকট যারা তৈরি করবে, তাদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশে নন ইউরিয়া সার টিএসপি, ডিএপি, এমএপি ব্যবহার হয় বছরে ৩২ লাখ টনের বেশি। এর পুরোটাই বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। এসব সারের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে চার গুণ বেড়েছে, কিন্তু দেশে আমরা দাম বাড়াইনি। কাজেই ইউরিয়া সারের কেজিতে ছয় টাকা দাম বাড়ার ফলে ফসলের উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না।