দেশে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেড়েই চলেছে। চলতি মাসে দিনে গড়ে ৮৪ জনের বেশি রোগী ভর্তি হয়েছেন। আর আক্রান্তের সংখ্যায় জুলাইয়ের ৩১ দিনের রেকর্ড আগস্টের ২০ দিনেই ছাড়িয়ে গেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমারজেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের প্রতিবেদনে এ চিত্র পাওয়া গেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, চলতি বছরের জুলাই মাসের ৩১ দিনে মোট ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হন ১ হাজার ৫৭১ জন। আর চলতি মাসের ২০ দিনে রোগী শনাক্ত হন ১ হাজার ৬৮৪ জন। চলতি বছরের মে মাসের ৩১ দিনে মোট রোগী শনাক্ত ও ভর্তি হয়েছিলেন ১৬৩ জন। জুনের ৩০ দিনে ছিলেন ৭৩৭ জন।
আর চলতি মাসে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মোট আট জনের মৃত্যু হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে আজ শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ১১৬ জন রোগী। তাঁদের মধ্যে ঢাকায় ৯৬ জন এবং বাইরে ২০ জন। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৪৩০ জন। তাঁদের মধ্যে রাজধানীর ৪৭টি সরকারি-বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৩৬৪ জন এবং বাইরে ৬৬ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে আজ ২০ আগষ্ট পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত মোট রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৩৪৪ জন। তাঁদের মধ্যে সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৩ হাজার ৮৯৬ জন। মোট শনাক্ত রোগীর মধ্যে ঢাকায় ভর্তি হয়েছেন ৩ হাজার ৬১৮ জন এবং ছাড়পত্র নিয়েছেন ৩ হাজার ২৪৬ জন। ঢাকার বাইরে মোট রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৭২৬ জন। তাঁদের মধ্যে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৬৫০ জন। এ সময় মৃত্যু হয়েছে ১৮ জনের। তাঁদের মধ্যে জুনে একজন, জুলাইতে ৯ জন এবং আগস্টে আট জনের মৃত্যু হয়েছে।
কীটতত্ত্ববিদেরা বলছেন, আগেই ধারণা ছিল আগস্ট-সেপ্টেম্বরে ডেঙ্গু সর্বোচ্চ চূড়ায় উঠবে। চলতি মাসে প্রতিদিন গড়ে ৮৪ জনের বেশি রোগী শনাক্ত হচ্ছেন। এজন্য দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে সরকারকে। যেসব এলাকায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেশি সেখানে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে দ্রুত মশা ও লার্ভা নিধন করতে হবে।