রোহিঙ্গাদের জরুরি অর্থসহায়তা হিসেবে ২০ লাখ ডলার দেবে জাপান। ভাসানচরে থাকা রোহিঙ্গাদের জন্য এই সহযোগিতা দেবে দেশটি। আজ শুক্রবার ঢাকার জাপান দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে জানানো হয়, এই অর্থসহযোগিতার ১০ লাখ ডলার পাবে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর। আর বাকি ১০ লাখ ডলার পাবে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)। এই অর্থ দিয়ে সংস্থা দুটি খাদ্য ও স্বাস্থ্য খাতে ভাসানচরে থাকা রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক কার্যক্রম চালাবে। এই অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেন, ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক কার্যক্রম পরিচালনা নিয়ে ২০২১ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশ সরকার ও জাতিসংঘের মধ্যে যে সমঝোতা হয়েছে, তার আওতায় সহযোগিতা করে আসছে জাপান। জাপান আশা করে, জাতিসংঘ ভাসানচরে মানবিক ও সুরক্ষাজনিত কার্যক্রম বাড়াবে।
ভাসানচর ছাড়াও বিশালসংখ্যক রোহিঙ্গা কক্সবাজারে থাকে। ফলে তাদের সঙ্গে সেখানে থাকা স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সহযোগিতা করাও জরুরি। কক্সবাজারে থাকা আন্তর্জাতিক সংস্থা ও এনজিওর মাধ্যমে সেখানকার জনগোষ্ঠীকে সহযোগিতা করবে জাপান। সেই সঙ্গে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে দ্রুত প্রত্যাবাসনের জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবে জাপান। এই সংকটের স্থায়ী সমাধান শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, পুরো অঞ্চলের জন্য জরুরি; যা জাপানের সুরক্ষিত, শান্তিপূর্ণ, টেকসই ও সমৃদ্ধ আঞ্চলিক ভিশন ‘অবাধ ও মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক’ বাস্তবায়নে সহায়তা করবে।