বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, এক দিনে হাসিনা ফ্যাসিস্ট হয়নি। ভারতের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে হাসিনা ফ্যাসিস্ট হয়ে ওঠে। জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গণহত্যা, হেলিকপ্টার থেকে গুলি—সব ভারতের মদদে হয়েছে। ভারত যদি এক ব্যক্তিকে প্রশ্রয় না দিত, তাহলে দেশে এ ধরনের অরাজকতা-বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতো না।
আজ শনিবার লক্ষ্মীপুর শহরের মাদাম এলাকায় অষ্টমীস্নান ও হরিনাম যজ্ঞ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এ্যানি এসব কথা বলেন। উত্তর মজুপুর সনাতনী দেবালয়ের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠান হয়।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচনে সব সময় ভারত প্রভাব খাটিয়ে হাসিনার পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। নৌকার মালিক হাসিনা। এই কারণে হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে হবে। হাসিনা ছাড়া আর কারও ভালো দেখবে না, তা হতে পারে না। এই কারণে হাসিনা ভারতের সহযোগিতায় ফ্যাসিস্টের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়।
এ্যানি বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা নির্যাতনের শিকার, তাদের বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়—এমন মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভারতের পার্লামেন্টে আলোচনা হয়। পার্লামেন্টে যদি এ ধরনের আলোচনা হয়, তাহলে বুঝতে হবে, এটা একটা ষড়যন্ত্র। এসব কথা বলে সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষদের খাটো করা হচ্ছে, ছোট করা হচ্ছে। কিন্তু দেশে এ ধরনের কোনো ঘটনাই ঘটেনি।
ভারতের উসকানিতে পা না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি নেতা বলেন, ‘সংখ্যালঘুরা সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার হয়েছে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সময়। অথচ ৫ আগস্টের পর সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ সবচেয়ে শান্তিতে ও নিরাপদে রয়েছে। সবাই মিলেমিশে থাকতে চাই। হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই। সবার আগে বাংলাদেশ। দেশের স্বার্থে সবাই ঐক্যবদ্ধ।’
এ সময় আরও বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সাহাবুদ্দিন সাবু, শংকর কুমার মজুমদারসহ অনেকে।